Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে টাস্কফোর্সের সভা কর্ণফুলী নদী সুরক্ষায় সীমানা নির্ধারণ হবে

প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : অবৈধ দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যবস্থা না নিলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীও অদূর ভবিষ্যতে ঢাকার বুড়িগঙ্গার ভাগ্য বরণ করতে পারে এমনটি আশংকা ব্যক্ত করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে সিএস জরিপের ভিত্তিতে কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণে প্রয়োজনে আরএস জরিপের সহায়তা নেয়া হবে। তিনি বলেন, নদী হত্যা মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নদী আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। গতকাল (শনিবার) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩০তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম, নৌ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায়, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফা কামাল, নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এনামুল কাদের খান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহরিয়াজ প্রমুখ।
এ দায়িত্ব শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়। সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও সমাজের সচেতন মানুষকে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ৬৫টি নদী খনন করতে হবে আমাদের। ইতোমধ্যে ৭টি নদীর খননকাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ড্রেজার সংকট। আরেকটি সংকট হচ্ছে জনবলের। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো অবস্থা।
‘কর্ণফুলী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না’ এমন মন্তব্য করে উক্ত সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদী রক্ষার স্বার্থে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে আলাদা স্যুয়ারেজ লাইন করতেই হবে।
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় চসিক যথাযথ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দখল ও দূষণের সঙ্গে দেশের কোনো না কোনো নাগরিক জড়িত। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিদিন ২০-২১টি ওয়ার্ডে মাইকিং করছি, এক কোটি লিফলেট বিতরণ করেছি। স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। নদী রক্ষা কমিটির সুপারিশ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অর্থের সংশ্লিষ্টতা আছে, এর দায়িত্ব কে নেবে। এটাও বিবেচনায় নিতে হবে। সভায় রুই কাতলা জাতীয় মিঠা পানির মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর ওপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রামে টাস্কফোর্সের সভা কর্ণফুলী নদী সুরক্ষায় সীমানা নির্ধারণ হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ