বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রশ্নপত্র বিতরণে কেলেংকারির ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে বেশকিছু কেন্দ্রে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের। এনিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ঘটনার জন্য দায়িদের ইতোমধ্যে সরিয়ে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এঘটনায় কোন শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল (রোববার) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেলেংকারির বিষয়টি উত্থাপিন করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে ভিন্ন প্রশ্নে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। যা তাদের শিক্ষা জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। এবিষয় মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষার প্রায় ৪ হাজার কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে এঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র সচিবসহ যাদের ভুলের কারণে এটা ঘটেছে, ইতোমধ্যে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ি সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথম দিনে যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যাতে কোন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে জন্য তাদের খাতা ভিন্নভাবে দেখা হবে। আগামীতে যাতে এধরণের ঘটনা না ঘটে সেবিষয়েও সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানান জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নৈতিকতা বিরোধী বক্তব্য দিলেন। যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের কোন মানদÐে নম্বর দিবেন। সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে তারা পরীক্ষায় কি লিখলো? তারা না লিখলেও কি নম্বর দিবেন? বরং তাদের সিলেবাসে নতুন প্রশ্নে তাদের আবরো পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, নতুন করে পরীক্ষা নিলেও তো একই মানদÐ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কারণ আগের যে প্রশ্নে অন্যরা পরীক্ষা দিয়েছে, একই প্রশ্নে আবারো পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আর নতুন প্রশ্ন করলে তো আলাদাই হলো। তবে, সমাধান কি? এবিষয়ে যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোন প্রস্তাব থাকলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তি : বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও আওয়ামী লীগের সদস্য পংকজ দেবনাথের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে ডা. দিপু মনি সংসদে জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তির দাবি গত সংসদে আমারও ছিলো। মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এমপিওভূক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আবেদনপত্র জমাও হয়েছে। এখন তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দ্রæত তালিকা তৈরির কাজ শেষ করে পর্যায়ত্রমে এমপিওভূক্ত করা হবে। অর্থসংস্থান অনুযায়ী এই মুহর্তে যতোগুলো সম্ভব, ততোগুলো করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক : সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) কোর্স চালু ও সেখানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সরকার আন্তরিক। যেখানে কোর্স চালু হওয়ার পরও শিক্ষক নেই, সেখানে দ্রæত শিক্ষক নিয়োগে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।