পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহননের ঘটনায় প্ররোচনা প্রদানে অভিযুক্ত তার স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন শাখার মাধ্যমে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে রিমান্ড আশা করছে পুলিশ। কর্মকর্তাদের ধারণা, রিমান্ডেই বেরিয়ে আসবে ডা. আকাশের আত্মহত্যার পেছনে স্ত্রী মিতুর কী দায় ছিল। পরকীয়া তথা নৈতিক স্খলনের সঙ্গে ডা. আকাশের আত্মহননের যোগসূত্র সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ‘থ্রি ডক্টরসের’ সেই আলোচিত ও পরিচিত মেধাবী ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহননের ঘটনাটি গত তিন দিন যাবৎ সর্বত্র মানুষের বিবেককে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা আর গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনের পর দিন দাম্পত্য জীবনে অশান্তির কান্না তুলে ধরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ডা. আকাশ। তার অগণিত শিক্ষার্থী, সহপাঠী, বন্ধু এমনকি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলে উচ্চারিত হচ্ছে নানা প্রশ্ন, নানা কৌতুহল। শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথে প্ররোচনা দানকারী অবিলম্বে চিহ্নিত হবে কি? আদৌ কি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে? নাকি কিছুদিন মাতামাতির পর সবকিছু থমকে যাবে অতীতের একেকটি মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনাবলীর মতো।
সচেতন নাগরিক মহলে নানামুখী প্রশ্ন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ঘুরপাক খাচ্ছে, নৈতিক স্খলন, পরকীয়া, বৈষয়িক লোভ-প্রলোভন আর হিংসা-প্রতিহিংসার পরিণতিতে সামাজিক মূল্যবোধের দিন দিন ঘটছে চরম অধঃপতন। এতে করে সর্বনাশা নদীভাঙনের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দাম্পত্য জীবনে ভাঙন আর ধস। বাড়ছে কলহ, সন্দেহ-অবিশ্বাস আর হতাশার মহামারি।
এদিকে ফেসবুকে প্রকাশ্যে নিজ প্রিয়তমা স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া-আসক্তির বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে চরম হতাশা আর গ্লানিতে ভেঙে পড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ গত বৃহস্পতিবার ভোরে শিরায় ইনজেকশনে বিষ প্রয়োগ করে আত্মহননের পথ বেছে নেন। আত্মহত্যা মহাপাপ। তবে এ করুণ মৃত্যু কেউই স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে চাচ্ছেন না।
ডা. আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগটি প্রাধান্য পেয়েছে। গত শুক্রবার ডা. আকাশের স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম। আসামিরা হলেন তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা, তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলেবন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম। এছাড়া ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ডা. আকাশ চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি স্বপরিবারে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-বøক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকায়। মিতুর পরিবার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের ৪০/এ নম্বর বাড়িতে থাকেন। মিতু যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় থাকতেন। ১৩ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফিরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।