প্রেমঘটিত কারণ ও চাকরী না পাওয়ার হতাশা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একের পর এক আত্মহননের ঘটনায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ ঝিনাইদহ শহরের মহিষাকুন্ডু গ্রামের আজিমুদ্দীনের পর ঐশী শিকদার নামে আরো এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। প্রেমঘটিত কারণে গত বৃহস্পতিবার ঐশী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সদ্য স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্রী ঐশী শৈলকুপা উপজেলার ছোন্দাহ গ্রমের আলাউদ্দীন বিশ্বাসের মেয়ে। ভর্তির একদিন পরই সে আত্মহত্যা করে। শৈলকুপা থানার এসআই মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার দিন ঐশীর পিতামাতা বাড়ি ছিলেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনের কারণে ঐশী আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। সেই মোতাবেক কারো প্রতি সন্দেহ না থাকায় ঐশীর লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। তবে গ্রামবাসি জানায় প্রেমঘটিত কারণে ঐশী আত্মহত্যা করেছে। ইবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান জানান, প্রেমঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে আমি শুনেছি।

এদিকে চলতি বছরে ঐশীসহ ইবির ৮ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে প্রেমঘটিত কারনই বেশি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এ বছর ইবির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমুজ্জামান খান সাঈম শৈলকুপার শেখপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের ২২৯নং কক্ষ থেকে নাজমুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নাজমুল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান আতিক (২৫) আত্মহত্যা করে। এদিকে পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় ইবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্স ফলপ্রার্থী রোকনুজ্জামান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ও মুমতাহিনা ঝিনাইদহের নিজ বাসায় আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। গত শনিবার ঝিনাইদহ শহরের মহিষাকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা ও আলকোরআন বিভাগের ছাত্র আজিমুদ্দীন বিষপান করলে শনিবার ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।