বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে গত জানুয়ারী মাসে ২৯জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে চারজন আত্মহত্যা করেছে, ধর্ষণ- যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২জন নারী ও শিশু, অপহরন চেষ্টার শিকার ৫জন নারী ও শিশু। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) গতকাল এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে তুলে ধরা হয়, জানুয়ারি মাসে অমানবিক কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র। নগরীতে মেয়েকে উক্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর, নগরীর আসাম কলোনসীতে ৭ম ও ৩য় শ্রেণির ছাত্রী আখি আখতার (১২) ও রুমানা খাতুন (১৪) অপহরন, পুঠিয়ার শাহাবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুহান (১৭) এর বিষপানে আহত্মহত্যা, মোহনপুরে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহাদিপুর গ্রামের ইসমত আরা বেগম (২৫) এর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীর নিউ গভ:ডিগ্রী কলেজের ছাত্রীকে অপহরন করে মুক্তিপন দাবি, দূর্গপিুরে এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, নগরীর কাজলা সাঁকোপাড়া মহল্লায় স্বামীর তৃতথীয় বিয়ে করায় সিতারা বেগম (২৮) অভিমানে আত্মহত্যা, পবায় ভাইয়ের মারপিটে স্বামী স্ত্রীসহ ছেলে আহত, বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ মৌসুমী খাতুন (২৬) ভ্যাসমল তেল খেয়ে আত্মহত্যা করে, বাঘায় শ্বশুরবাড়ী কর্তৃক লাবনীসহ তার পরিবার নির্যাতনের শিকার, পুঠিয়ায় বানেশ্বর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া দূর্বত্তদের ছোড়া প্রেটাল আগুনে ঝলসে যায় জেরিন আক্তার এর মুখ, নগরীর চন্দ্রীমা থানাধীন শিরোইল কলোনীর ১নং গলির বাসিন্দা মেহেদী হাসান রাফি (১১) কে অপহরণের চেষ্টা, বাঘা উপজেলায় স্ত্রী শামীমা আকতার রেখাকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে পালিয়েছে স্বামী ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায় রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী শিশু নির্যাতনস সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেুুত্রে বিদেশী কিছু টিভি সিরিয়াল পরকীয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা আত্মহত্যা অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।