ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। গত ৩০ ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাতের অন্ধকারে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে তা আধুনিক সমাজে অকল্পনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। এমন একটা তামাশার নির্বাচনের বিজয় উৎসব ও পুনরায় উপজেলা নির্বাচনের তফ্সীল ঘোষণা জনগণের সাথে এক ধরণের প্রহসন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ধর্ষণ এখন রাজনৈতিক জীঘাংসার হাতিয়ার। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
আজ শুক্রবার, সকাল ৯ টায় রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাও. সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাও. খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাও. গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাও. ইমতিয়াজ আলম, এডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কে.এম আতিকুর রহমান, অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বরকত উল্লাহ লতীফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমূখ।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, এই জাহেলী সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়তে হবে। সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, ৩০ জানুয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ চিরতরে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে।
ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ১১ দফা সম্মেলন ঘোষণা উপস্থাপন করেন ইশা ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তেব্যে ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল করীম মরুফ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি, স্বৈরাচারী রাষ্ট্রগুলোর অন্যতম, দরিদ্র মানুষের সংখ্যায় দেশ ভরাক্রান্ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা পরাহত, সুশাসনের সবগুলো মাপকাঠিতেই দেশ নি¤œ সারিতে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতবছর পরেও স্বাধীনতার প্রত্যাশা হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল নীতির অনুসরনে। ইশা ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম ও দেশের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও চর্চিত দর্শন নীতির বাস্তবায়নে দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।
সম্মেলন শেষে শেখ ফজলুল করীম মারুফকে সভাপতি, এম. হাছিবুল ইসলামকে সহ-সভাপতি, মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০১৯ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই।