Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্তে হত্যায় ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সীমান্তে বিএসএফ যে ভাবে গুলি করে নিরিহ বাংলাদেশীদের হত্যা করছে তা ভারতের আগ্রাসী বৈরী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধারাবাহিক হত্যাকাÐের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গতকাল বাম গণতান্ত্রিক জোটের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে এসব কথা বলা হয়। প্রস্তাবে আরো বলা হয় বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের অব্যাহত হত্যাকাÐ আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান, সাইফুল হক, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, হামিদুল হক, ফখরুদ্দীন কবীর আতিক, বাচ্চু ভ‚ইয়া, মমিনুর রহমান মমিন, সাজ্জাদ জহির চন্দন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, বহ্নিশিখা জামালী, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, কেবল সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ ৯ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঠাকুরগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ সীমান্তের তারকাটায় ঝুলতে দেখা গেছে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় কোন একটি ঘটনার জন্য বিএসএফকে শাস্তি প্রদান করা হয়নি। কিশোরী ফেলানীর বিচারও আজ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। প্রস্তাবে বলা হয়, বিএসএফ-বিজিবি’র মধ্যকার স্বার্থেরও যুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার কথা বলা হলেও বিএসএফ এ সময়ে তা লঙ্ঘন করে আসছে এবং বাংলাদেশ বিরোধী তাদের বৈরী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার প্রায় প্রতিদিন ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করে মর্যাদা দিয়ে আসলেও ভারত তার জবাব দেয় সহিংস পন্থায়। প্রস্তাবে বলা হয়, ভারতের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অনুগত মনভাবের কারণেই ভারত তথা বিএসএফ এই ঔদ্ধত্য দেখাতে পারছে। প্রস্তাবে বলা হয়, এই পরিস্থিতি সীমান্তে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। প্রস্তাবে অনতিবিলম্বে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যাকাÐ বন্ধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার আহŸান জানানো হয়।

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৯ এএম says : 0
    এই সমস্থ আহবান টাহবানে কোনো কাজ আসবে না। একমাত্র ব্যবস্থা বিএসএফ কে দেখা মাত্র গুলি। আর ভারতের সাথে সকল সম্পর্ক চিন্ন করাই একমাত্র ভালো ব্যবস্থা। পাকিস্থান সীমান্তে মাইর খাইয়া আমাদের বাংলাদেশ সীমান্তে এসে আমাদের নিরিহ জনগন হত্যা করে ভারত। ভারতকে দাঁত ভাংগা জবাব দিলেই ঠিক হইয়া যাইবে। ইনশাআল্লাহ। ভারত পাকিস্তানের মোকাবেলায় যেন এক্টা ইঁদুর আমাদের মোকাবেলায় ও ভারত ভয়ে কি যে করিতো? পরিতো কি মরিতো বেহুঁশ হইয়া যাইতো৷ ইনশাআল্লাহ। স্বাধীনতা অরজনের আগে ভারত আমাদের দিকে থাকাতো না। এখন কেন ভারত এত বড় খোনী? জবাব চাই।এখন কেন ভারতকে দাঁত ভাংগা হচ্ছে না? জবাব চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:১৪ এএম says : 0
    Varot emon eak desh tader shorkarer nonnotom chokkhu lojja protibeshi shulob shoharddota bondhutto shohojogita tader kase nei tara amader sharbovomotto longghon kore amader bortoman shorkar theke shob niase deowar belai odhik hare rin o amader desher manushke shimante hotta kore,eaidhorner hotta theke Felanir moto shoshu bad jainai...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীমান্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ