ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনগ্যাস কমপ্রেসারে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নাশকতা কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনগ্যাস কমপ্রেসারের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। এ সময় প্লান্টের বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রংশ পুড়ে গেছে। তবে আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কারখানার ভিতরে যেতে সাংবাদিকদের বাধা দেয়া হয়।
কারখানা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েকদির আগ থেকেই কারখানাটির এ্যামেনিয়া প্লান্টের সিনগ্যাস কমপ্রেসারে ত্রæটি দেখা দেয়। এটি মেরামত করার জন্য কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ ছিল। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় কারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের দ্বিতীয় তলায় কাজ করার সময় সিনগ্যাস কমপ্রেসারে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে ও তেলের রিজার্ভার লিকেজ হয়ে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন কমপ্রেসারের চারদিকের বিভিন্ন যন্ত্রংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী ও কারখানার নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় এ্যামোনিয়া প্লান্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকরা আগুনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাদের কারখানার ভিতরে যেতে বাধা দেয়া হয়।
এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ ফায়ার সাভিসের সাব অফিসার মো. আওসাদ মিয়া জানান, কারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনগ্যাস কমপ্রেসারে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে ও তেলের রিজার্ভার লিকেজ হয়ে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আশুগঞ্জ সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তেমন বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে ষংবাদিকদের ভিতরে যেতে না দেয়া দু:খজনক বলে জানান তিনি।