বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে দিন দুপুরে এক মাদরাসা ছাত্রীকে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। দুই নরপশু ওই ছাত্রীকে চলন্ত গাড়িতেই ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে ঘটনা ফাঁস করলে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় নরপশুরা। এরপর ওই ছাত্রীকে রাস্তায় নামিয়ে দেয় তারা। এদিকে ছাত্রীটির অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সোমবার গভীর রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায় এক আসামি। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অপরজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারও। নগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এ চক্রটি এ গাড়িতে তুলেই আরও কয়েকজনকে ধর্ষণ করেছে। এ চক্রের সাথে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সামনে নগরীর জামালখানে একটি প্রাইভেট কার এসে থামে। কারটিতে (চট্টমেট্রো-গ-১২-৩০৫২) আসামি শাহাব উদ্দিন (২৩) পেছনের সিটে ও তার বন্ধু শ্যামল দে (৩০) চালকের আসনে বসা ছিল। এ সময় গাড়ির দরজা খুলে শাহাব উদ্দিন ওই ছাত্রীর কাছ থেকে রীমা কমিউনিটি সেন্টার কোনদিকে জানতে চায়। ছাত্রী কমিউনিটি সেন্টার দেখিয়ে দেয়ার একপর্যায়ে পেছনের সিট থেকে শাহাব উদ্দিন তাকে টান মেরে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ীটি সার্সন রোডের দিকে যেতে থাকে।
এ সময় শাহাব উদ্দিন ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক গাড়ীর পিছনের সিটে শুইয়ে ধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে ড্রাইভিং সিটে থাকা শ্যামল দে পিছনের সিটে এসে ধর্ষণ করে। শাহাব উদ্দিন গাড়ী চালানো অবস্থায় শ্যামলের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। শ্যামলের ধর্ষণের পর শাহাব উদ্দিন ও শ্যামল মিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে কাউকে কিছু না বলার কথা বলে গণি বেকারীর মোড়ে নামিয়ে দিয়ে দ্রæত চলে যায়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ওই ছাত্রী বিষয়টি থানায় জানালে তাদের ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। একপর্যায়ে সোমবার দুপুরে নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে ওই ছাত্রীকে আবারও প্রাইভেট কারে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে ওই দু’জন। এ সময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। তারা দ্রæতগতিতে প্রাইভেট কার চালিয়ে লালদিঘীর পাড়ে এসে গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শ্যামলকে ধরে ফেলে। শ্যামলকে নিয়ে রাতে শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় মেরিনার্স রোডে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রাণ হারায় শাহাব উদ্দিন। শাহাব উদ্দিন কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার মধ্যম কইয়ার বিল মৌলভীপাড়ার মৃত মফজল মিয়ার পুত্র। নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় তার বাসা। অপর আসামি শ্যামল দে রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার মৃত হরি কুমার দের পুত্র। তার বাসা নগরীর ডিসি রোডে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ওই মাদরাসা ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী শাহাব উদ্দিন। এর আগেও সে এ ধরনের অপকর্ম করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের একটি সিন্ডিকেট এ ধরনের অপকর্ম করছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। এমন জঘন্য অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।