Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোদাগাড়ীতে মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:২৭ পিএম

প্রায় এক মাস ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ইউপি কার্যালয়েও যাচ্ছেন না। চেয়ারম্যান এভাবে লাপাত্তা থাকায় পরিষদের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। পরিষদের সব সদস্যরা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন। গত ২১ জানুয়ারি করা এ অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভাগের উপ-পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালককেও দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীও সুপারিশ করেছেন। যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ পরিষদে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকালে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মগোপনে আছেন। তবে তিনি জামিন পেয়েছেন। শিগগিরই তিনি পরিষদে ফিরবেন।চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ইউপি সচিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। পরিষদে না থাকলেও তিনি এভাবে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সমর্থক একজন প্যানেল চেয়ারম্যান তাকে সরিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে চান। তাই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান তৌহিদের বিরুদ্ধে বিএনপি সমর্থক সদস্যরাও অভিযোগ করেছেন। লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিষদ ২ বছর ৪ মাস আগে দায়িত্ব নিলেও আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব সদস্যরা জানতে পারেননি। তারা সেগুলো জানার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সচিবের ভাষ্য, তিনি কিছুই জানেন না। সব জানেন চেয়ারম্যান। পরিষদের নিজস্ব আয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে পাওয়া অর্থ চরম স্বেচ্ছাচারিতা করে চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করে থাকেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে হয় লুটপাট। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত আছেন। এতে পরিষদে আরও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত এ অবস্থার অবসান চান।
২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিএনপিপন্থী শামীম ইকবাল খঞ্জন বিলেন, ইটভাটা, মিল কারখানার ট্যাক্সের টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেন। একটি বেসরকারি সংস্থার ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা খুশি তাই করেন। তিনি গ্রাম আদালতে বসেন না। সেখানে কোনো সেবা পান না ইউনিয়নবাসী। আর গত দুই বছর সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানির টাকাও দেননি চেয়ারম্যান। তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আক্তার বলেন, সদস্যরা তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি সেটি খতিয়ে দেখছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পরিষদের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে আরও অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে ডেকেছেন। চেয়ারম্যান এলে দুইপক্ষকে নিয়ে তিনি শুনানি করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পলাতক

২৭ জানুয়ারি, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ