পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ১৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী’। এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে ক্ষতিপূরণ বাবদ অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে জমির মালিক ও এক শ্রেণির দালাল তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা প্রকল্পের প্রস্তাবিত জমিতে রাতারাতি শত শত ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছে। শনিবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। অবৈধ স্থাপনা জনসম্মুখে অবাধে উঠতে থাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুরের জেলা উপজেলা প্রশাসন ও তাঁতবোর্ডের উদাসীনতাকে দায়ী করে প্রকল্পটি অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় তিনি এসব স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন, প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করার হুশিয়ারি দেন। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ জানতে চান।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯শ’ ১১ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ৪৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে অসংখ্য ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনে প্রত্যেক তাঁতীর জন্য ৬শ’ ফুটের কারখানা ও ৮শ’ ফুটের মধ্যে আবাসন সুবিধা থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে সুতা রংসহ কাঁচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তজার্তিক মানের শোরুম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, তাঁতীদের ছেলে মেয়েদের জন্য থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জেলা প্রশাসন থেকে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে রেকর্ড ভূমির মালিকদের দাগ ভিত্তিক তথ্য চাওয়া হয়েছে। এমন তথ্য নাওডোবা ও কুতুবপুরে ছড়িয়ে পরলে ওই জমির মালিক ও এক শ্রেণির দালাল চক্র ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ লাগানো শুরু করেছেন। প্রতিদিন শত শত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে ক্ষতিপূরনের বাড়তি টাকার আশায়।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে আওয়ামীলীগ সংসদীয় দলের সাধারন সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এমপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীর নামে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীর জন্য প্রস্তাবিত জমি। এই জমিতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নতুন নতুন ঘরসহ নানান স্থাপনা তৈরি করে অধিগ্রহণের বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব দেখেও মাদারীপুর-শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও তাত বোর্ড নীরব রয়েছে। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে মনে করি এখানে তাঁতপল্লী করা ঠিক হবে না। আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।