পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত প্রহসনের সরকারকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতেই গণভবনে চা-চক্রের আয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। তার মাধ্যমে এদেশে একটি প্রহসনের সংসদ হয়েছে এবং যে সংসদের মাধ্যমে এদেশে একটি নতুন করে সরকারও গঠিত হয়েছে। সেই সরকারের সত্যিকারের অবস্থান কোথায়- সেটা আমরা যদি নাও জানি, সরকার নিজে কিন্তু ঠিকই জানে। আর নিজে ঠিকই জানে বলেই আজকে সরকার ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে কিভাবে তাদের এই যে প্রহসনের সরকার, সেই সরকারকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই চা-চক্রের (গণভবনে) আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতে ও ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কী নাটক ঘটেছিলো সেটা সম্পর্কে দেশের মানুষ অবহিত আছেন। তারা জানে কিভাবে একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রসহনের সরকার গঠিত হয়েছে। আর সেই সরকারকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতেই চা-চক্রের আয়োজন বলে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস করে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনের ভোট কারচুপির সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, এটা হচ্ছে একটা প্রহসনের নির্বাচন, একটা ভূয়া নির্বাচন। সেই ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ আজকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে সেই সংসদ বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। কার প্রতিনিধিত্ব করে সেটা আপনারাই বুঝে নিতে পারেন, আমার অধিকতর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই।
তিনি বলেন, এই সংসদ আজকে প্রতিনিধিত্ব করে সন্ত্রাসীদের, যে সন্ত্রাসীরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা ভোট জালিয়াতি করে নিজেদের বিজয়ী বলে ঘোষণা করেছে। মঈন খান বলেন, আমাকে কয়েকজন রাষ্ট্রদূত প্রশ্ন করেছিলেন আচ্ছা বিএনপির তো পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছেন, পরে আরেকজন নির্বাচিত হয়েছেন। আমাকে যখন রাষ্ট্রদূতরা জিজ্ঞাসা করেছেন তখন ৫জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাহলে সেই পাঁচজন কী সংসদে যাবে না। আমি বললাম, কেউ যদি নির্বাচিত হয় সংসদে যাবে না কেনো? কিন্তু আপনারা (রাষ্ট্রদূত) কী জানেন না। বিএনপির পাঁচজন তো নির্বাচিত হয়নি, তাদেরকে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে। যাদের নির্বাচিত দেখানো হয়েছে তাদের সংসদে যাওয়ার কি রাইট রয়েছে- সেই প্রশ্নের জবাব দেন তাহলে নিশ্চয় বিএনপির পাঁচজন সংসদে যাবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আসলে এই নির্বাচনে কে জয়ী, কে বিজয়ী সেটা কোনো প্রশ্নই নয়। নির্বাচনে যাদেরকে জয়ী দেখানো হয়েছে তারা জয়ী হয়েছেন, এই নির্বাচেন যাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে তারা পরাজিত হয়েছেন এবং সেটা করা হয়েছে শুধু ভোট রিগিংয়ের মাধ্যমে নয়, এটা করা হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।