বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষা দীক্ষায় ধনে সম্পদে কল কারখানায় ভরপুর জেলার আলোচিত উপজেলা সরিষাবাড়ি। দেশ স্বাধীনের পর এ আসনে যতবারই যে কেউ এমপি হয়েছেন তিনিই পেয়েছেন মন্ত্রিত্ব। শুধু গত নির্বাচনে ২০১৪ সালের এমপিটি মন্ত্রিত্ব গিরি পান নাই। অবশ্য এর আগে ২০০৮ এর নির্বাচনে সাবেক এমপি ডাঃ মুরাদ হাসানকে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় নাই। ফলে ঐ সনে এ আসন মন্ত্রী হারা ছিল। এর পরেও ডাঃ মুরাদ হাসান তৎকালে এমপি হয়েও একজন মন্ত্রিতের ভূমিকা নিয়ে উন্নয়ন করে গেছেন সরিষাবাড়ির। মনে হয় দেশ স্বাধীনের পর এ দেশের ইতিহাসে বিরল, দুইবার এমপি হয়ে মন্ত্রিত্ব গিরি পাওয়া খুব কম সংখ্যক এমপির ভাগ্যে জুটেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে সরিষাবাড়ি বাসী চির কৃতজ্ঞ। এদিকে ডাঃ মুরাদ হাসান এবার মন্ত্রিত্ব পেয়ে ভুলে গেছেন তার অতীতের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত গুলো। এবার তিনি বীর দর্পে আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী ৫ বছর সরিষাবাড়ি শাসন করবে এই প্রত্যাশা রাখেন তিনি। এ দৃষ্টি ভঙ্গিকে সামনে রেখেই সরিষাবাড়ি বাসী মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর কাছে মাত্র তিনটি দাবী পূরণের আশা করছে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় প্রধান মন্ত্রীর ডাকে ঢাকায় অবস্থান করছেন গত চার সপ্তাহ যাবৎ। সরিষাবাড়ি বাসী প্রহর গুনছেন কবে আসছেন প্রতি মন্ত্রী। সরিষাবাড়ি বাসীর দাবী গুলোর মধ্যে প্রথমেই উঠে আসে থানা পুলিশের হয়রানি। একজন ওসি কি করে মাসে তিন চার লক্ষ টাকা পকেটে উঠায়, একজন এস আই বা এ এস আই কি করে মাসে এক দেড় লক্ষ টাকা বাড়ী পাঠায়। তবে সব এস আই এ এস আই এ পেশায় জড়িত নয়। সরিষাবাড়ি বাসী এসব অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ বা চাকরীচ্যুত চায়। দেশের অন্যন্য থানার খবর কি সেটা সরিষাবাড়ি জানেন না তবে সরিষাবাড়ির থানার চিত্র গুলো বদলাতে সরিষাবাড়ি বাসী মাননীয় প্রতিমুন্ত্ররি কাছে দাবী জানাবে। সন্ধা হলেই কতিপয় এস আই বা এ এস আই কিছু দালাল বসিয়ে রাখে থানা গেটে। ঐ দালালরা খদ্দদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা চুষে নিয়ে তুলে দেয় ঐ সব অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে। কে দোষী কে বিনা দোষী সেটা দেখার আগেই টাকা হাতে নেয় ঐ দালালরা। এতে সর্বশান্ত হচ্ছে সরিষাবাড়ীর নিরিহ জন সাধারন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান চায় সরিষাবাড়ীবাসী। আর এসব অপকান্ড সব পুলিশ অফিসারেরা না করলেও দায়ভার পড়ে সকল অফিসারদের ঘাড়ে। দ্বিতীয় ভুমি অফিসের দুর্নীতি। এ এক আরেক আজব কারখানা। টাকা ছাড়া জমি খারিজ হওয়া এখন দুরুহ ব্যাপার। ভুমি অফিস গুলোও থানার চেয়ে কম নয়। রেজিষ্টি অফিসে যেমন নামাকে কান্দা, কান্দাকে নামা, একজনের জমি আরেক জনের নামে ভুয়া দাতা সেজে দলিল করা হয়, এখানেও তেমনি কারিজ করতে গেলে আগে টাকা গুনতে হবে, তারপর এক জনের জমি আরেক জনের নামে খারিজ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরিষাবাড়ী বাসী ভুমি অফিসের এসব অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও অপসারন বা চাকরীচুৎ চায়। তৃতীয়ত গাজা ও মাদক, মাদকে ছেয়ে গেছে সরিষাবাড়ী। মাননীয় প্রতিমুন্ত্রীর কাছে দাবী সরিষাবাড়ীসহ সারা দেশের এ তিনটি অবস্থান থেকে ফেরানো যায় তবেই শেখ মুজিবের সোনা বাংলা গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।