বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একসময়ের আরাকানের সমৃদ্ধ মুলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের এখন 'ন ঘরকা, ন ঘাটকা' অবস্থা। নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত এই আদম সন্তান গুলো পৃথিবীর কোন দেশে যেন ঠাঁই পাচ্ছেনা। ২০১৭ সালের আগষ্ট থেকে মিয়ানমার সরকারর নির্যাতনে পালিয়ে আসা ১২ লাখ মত রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করে আসছে। মিয়ানমারে সেই নির্যাতনের ধারা এখনো সমানে চলছে। এর উপর যোগ হচ্ছে সম্প্রতি ভারত ও সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে শত শত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ।
রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান এই পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে তিন দিনের সফরে এসে এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি।
সোমবার দুপুরে বিমানযোগে তিনি কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর দুপুর ১টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন এক রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ।
তুমব্রু সীমান্ত ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জাতিসংঘ দূতকে অবহিত করেন, মিয়ানমার অনেকবার শূন্য রেখা থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তারা সাহস হারায়নি। এখন নতুন করে খালে বাঁধ দিচ্ছে তারা। যা বাস্তবায়িত হলে বর্ষায় তাদের ঝুপড়িঘর গুলো তলিয়ে যাবে।
সেখানে রোহিঙ্গা নেতা, মিয়ানমারে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন ইয়াং হি লি। এ সময় রোহিঙ্গা এক শিশুকে কোলে নিয়ে আদরও করেন হি লি। মিয়ানমারে নির্যাতিত এক রোহিঙ্গা নারীকে জড়িয়ে ধরে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা
হি লি।
রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে আত্মমর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে সে লক্ষ্যে হি লি কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ। রোহিঙ্গা সংকট সুষ্ঠু সমাধানে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
এরপর উখিয়ার কুতুপালং ইউএনএইচসিআররের ট্রানজিট সেন্টার পরিদর্শন করেন হি লি। সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি না হলেও কক্সবাজারে তিন দিনের সফর শেষে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করবেন বলে জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার এই বিশেষ দূত।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন। এ সময় উখিয়া থানা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের, ইউএনও নিকারুজ্জামানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।