বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে গণধর্ষণের শিকার চার সন্তানের জননী হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরেছে। এরআগে দীর্ঘ ১৭দিন ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর গণধর্ষণের শিকার ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। শুরুর দিকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরক্ষার মাধ্যমে গণধর্ষণের আলামতও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বিভিন্ন মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ্য রয়েছেন। স্বাভাবিক খাওয়া-ধাওয়া ও নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছেন। সর্বশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অর্থোপেডিক বিভাগে আবারও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। এছাড়া যে কোনো সমস্যা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় নির্যাতিতা অনেকটা সুস্থ হলেও বাড়ি যাওয়ার পর তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তবে পুলিশ প্রশাসন ওই নারীর সকল প্রকার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি কেউই।
চরজব্বার থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। পুলিশ সব সময় ওই পরিবারের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ডিসেম্বর রবিবার ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের জের ধরে দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বাহিনীর সদস্য সহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচু’সহ ১০জন। এসময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪সন্তানকে বেঁধে রেখে ভিকটিমকে উঠানে নিয়ে কাপড় ও ব্লাউজ দিয়ে তার মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় মামলায় এজহারভূক্ত ৬জন ও ঘটনার জড়িত থাকায় ৫জনসহ মোট ১১জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।