পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে এ নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উঠে যাচ্ছে এবং ভোট আয়োজনে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই নির্বাচনের তফসিলের কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রিট আবেদনকারীর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছেন। রিট আবেদনকারী আতাউর রহমানের আইনজীবী আহসান হাবীব ভুঁইয়া বলেন, রিট আবেদনকারী মামলাটি পরিচালনা করতে চান না। যে কারণে আমরা আদালতে যাইনি। রিট খারিজ হওয়ায় নির্বাচনে কোনো আইনগত বাধা নেই।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে গতবছর ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। ওই নির্বাচনের তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে গেলে সেখানে হাইকোর্টের দেয়া রুল দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেন। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। গতকাল বিষয়টি রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু রিটকারী বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কেউ আদালতে না থাকায় আদালত রুল খারিজ করে দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে আদালতে উপস্থিত আইনজীবী কাজী মাইনুল হাসান পরে বলেন, নির্বাচন হতে আইনগত কোনো বাধা এখন নেই। তবে বাদীপক্ষ চাইলে রুলটি আবার পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আফিফা বেগম বলেন, রিটকারীদের আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তাই রুল খারিজ করে দিয়েছে। তবে বাদীপক্ষ চাইলে আবার রুল শুনানির সুযোগ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।