Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আস্থা ভোট আজ, পদ হারাতে পারেন মে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:২৯ পিএম

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র করা প্রস্তাব বিপুল ভোটের ব্যবধানে নাকচ করে দিয়েছেন ব্রিটেনের আইন প্রণেতারা। বড় ব্যবধানে এমন পরাজয়ের পর আজ বুধবার আবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন ব্রিটেনের এ প্রধানমন্ত্রী। কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে বেড়িয়ে যাওয়ার কথা। যে কারণে পরবর্তী সম্পর্কের একটি রূপরেখা নিয়ে জোটটির সঙ্গে এক কথিত চুক্তিতে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে।
পার্লামেন্ট ভবনে সেই চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে এক ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে এক বড় ধরনের পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয় প্রধানমন্ত্রী মে’কে।
ভোট শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে এমন আস্থা ভোটকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, এবারের পরাজয়ে টেরিজা মে’র সামনে দুটি পথ খোলা আছে। একটি হলো আগামী তিন দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে নতুন একটি চুক্তির খসড়া উত্থাপন করা, আর অপরটি ইইউর দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা আগামী ২৯ মার্চ থেকে বাড়িয়ে সামনের দিকে নবায়ন করা। সেক্ষেত্রে যদি তা না হয় তাহলে আগামী ২৯ মার্চ রাতের মধ্যেই ইউরোপের অন্তত ২৭ দেশের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের মাধ্যমে এক বড় ধরনের সঙ্কটের সম্মুখীন হবে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ২৩০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ হয়ে যাওয়ার পর এখন কী হতে যাচ্ছে- দেশটির জন্য ও তার অধিবাসীদের জীবনে সেই প্রশ্নটি ঘুরছে সবার মাথায়। ব্রেক্সিটের সময় ঘনিয়ে আসছে। ২৯ শে মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা। সেই হিসাবে আর মাত্র ৭৩ দিন বাকি।
দেশটির লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ইতিমধ্যেই সরকারের প্রতি একটি অনাস্থা ভোটের আহবান জানিয়েছেন।
২০১১ সালের একটি আইন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে প্রতি পাঁচ বছর পর পর সাধারণ নির্বাচন হয়। সেই হিসেবে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২২ সালে। কিন্তু একটি অনাস্থা ভোট হলে এই সরকারকে সংসদ সদস্যরা চান কি না - সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। যদি অনাস্থা প্রস্তাব জিতে যায়, তাহলে সেখানকার সরকার ১৪ দিন সময় পাবে। তার মধ্যে নতুন একটি অনাস্থা ভোটে না জিতলে আগে-ভাগে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে। সেটি করা যাবে ২৫ দিন পর থেকে যেকোনো সময়। কিন্তু সরকার যদি অনাস্থা প্রস্তাব থেকে বেঁচে যায় তাহলে মূল যে বিষয় অর্থাৎ টেরিজা মে নতুন করে ব্রেক্সিট বিষয়ে সংসদে ভোটের ডাক দিতে পারবেন। নতুন করে ব্রেক্সিট বিষয়ে সংসদে ভোটেও যদি কিছু না হয়, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দেন-দরবার করে ব্রিটেনের সুবিধামতো কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ অঞ্চল ছেড়ে বের হয়ে যেতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ