পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বেতন-ভাতা মেটাতে বাড়তি ঋণের চাপ তৈরি হচ্ছে সরকারের উপর। ফলে এ বছর ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণ বাড়ছে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকার কারণে এই ঋণ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রমতে, ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষে যার পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সুতরাং ছয় মাসের ব্যবধানে সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ হাজার ১১০ কোটি টাকা।
বিদায়ী ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে থাকায় ১ জানুয়ারি ব্যাংক লেনদেন শুরু হয়। ওইদিন থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনেই ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বিদায়ী ২০১৮ সালে সর্বশেষ ব্যাংক লেনদেন হয় গত ২৭ ডিসেম্বর, সেই দিন পর্যন্ত সরকারের নিট ঋণ ছিল ৯২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছর প্রত্যাশিত হারে সরকারের রাজস্ব আদায় না হওয়ায় উন্নয়ন প্রকল্প ও অনুন্নয়ন (বেতন-ভাতা) মেটাতে বাড়তি ঋণের চাপ তৈরি হচ্ছে। তবে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম থাকায় মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা দেখছেন না তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ওই মাসে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ।
এদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না সরকারের। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকা কম ছিল রাজস্ব আদায়। ডিসেম্বরের তথ্য আরও হতাশাজনক। জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর।
তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ব্যাংক ব্যবস্থায় গত ছয় মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণ বেড়েছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ বেড়ে ২৪ হাজার ৬১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।