পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1719796150](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
উৎপাদন জটিলতা দেখা দেয়ায় পাকিস্তান অবশেষে তার দেশীয়ভাবে তৈরি মেইন ব্যাটল ট্যাংক (এমবিটি) আল খালিদ-২ ট্যাংকের জন্য ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জি নিউজকে বলেন, পাকিস্তান অনেক দিন ধরে দেশীভাবে আল-খালিদ-২ ট্যাংক নির্মাণের চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে বিলম্ব ঘটায় আমরা আর এই ট্যাংকের ইঞ্জিন তৈরির দিকে যাচ্ছি না। এই ট্যাংকে ব্যবহার করা যায় এমন ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
চীন ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রের সহায়তায় পাকিস্তান সরকার আল খালিদ-২ ট্যাংকের ইঞ্জিন আমদানি করবে।
ভারতের উপর আধিপত্য বজায় রাখতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে তার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি শক্তিশালী করে চলেছে। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী আগামী তিন বছরের মধ্যে ৬২টি নতুন জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমান সংযোজনের পরিকল্পনা করেছে। অন্যদিকে একই সময়ে ৩৬টি রাফাল বিমান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ট্যাংকের ঘাটতি পূরণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর আগামী ছয় মাসের মধ্যে ৬০০’র বেশি ট্যাংক সংযোজন করতে চায়। দেশটি ইতোমধ্যে চীনের কাছ থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ১০০টি ভিটি৪ এমবিটি সংগ্রহ করেছে। এসব ট্যাংকের ইঞ্জিন ১২০০ হর্সপাওয়ারের এবং ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান এখন কমপিউটারাইজড ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম সম্বলিত ট্যাংক চাচ্ছে, যা ৩-৪ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।
ভারতও নিজস্ব এমবিটি অর্জুন তৈরি করেছে। এছাড়া আরো উন্নত সংস্করণের অর্জুন মার্ক-২ তৈরি করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই ট্যাংক অনেক হালকা। ভারতের এমবিটি রয়েছে ৪,১০০টি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ট্যাংক সংখ্যা প্রায় ২৫০০। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।