বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মিথ্যা মৃত্যু সনদ দিয়ে এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করাসহ সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চাচা ওসমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষিকা লিমা আক্তার। শনিবার বেলা এগারটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে করা এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাচা আব্দুল আজিজ হাওলাদার, ফুপাতো ভাই সাইফুল ইসলাম, লিমার মা মায়া বেগমসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য।
লিখিত বক্তব্যে লিমা আক্তার বলেন, তার দাদা হাফিজ হাওলাদার কুড়ি বছর পূর্বে মারা যায়। মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে এবং এক স্ত্রীর মধ্যে সকল স্থাবর সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। সেভাবেই সবাই জমিজমা ভোগ দখল করে আসছিলেন। তার পিতা আলী আহম্মদ ওরফে আলী আকব্বর দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগে ২৬.২.২০১৬ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর তারই আপন বড় ভাই ওসমান হাওলাদার ও তার পরিবার এ অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতসহ ভোগদখলীয় জমি দখলের ঘৃণ্য চেষ্টায় মেতে ওঠে। বিভিন্ন ছল চাতুরীসহ একের পর এক মিথ্যা মামলাসহ মানসিক ও শাররীকভাবে নির্যাতন করছে। বর্তমানে তার পরিবার জীবনহানির শংকায় ভ’গছে।
লিখিত বক্তব্যে লিমা আরো উল্লেখ করেন, মরহুম দাদা হাফিজ হাওলাদার তার পিতা আলী আহম্মদের নামে কিছু আবাদী জমি ক্রয় করেন। কিন্তু চাচা ওসমান হাওলাদার ১৯৭০ সালে আলী আহম্মদ মারা গিয়াছে মর্মে একটি সনদ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করে সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। ওই মিথ্যা সনদ বাতিল পূর্বক বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-সিপি-৩৫৫/১৭। কৌশলী ওসমান হাওলাদার এ ঘটনার পর নিজ কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করছেন। সর্বশেষ ৪ জানুয়ারি ২০১৯ সালে হামলাসহ জখমের অভিযোগ তুলে একটি মিথ্যা মামলা কলাপাড়া থানায় দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ঘটনার দিন সকাল সাতটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ধান কাটার সময় ওসমান হাওলাদারের বড় পুত্র শহিদুলকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখমের কথা বলা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে লিমা জানান, এত সময় নিয়ে হামলার ধান কাটাসহ হামলার ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় কাউকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। বরং পরিবারের সকল সদস্যকে সাক্ষী করা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লিমা বলেন, আলী আহম্মদ ওরফে আলী আকব্বর একই ব্যাক্তি। কাগজপত্রে আলী আহম্মদ থাকলেও পারিবারিক ভাবে তাকে আলী অকব্বর নামে ডাকা হত। যা তার মা আয়েশা আক্তার এফিডেবিটের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন। তিনি এখনো জীবিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমান হাওলাদার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।