বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নদী তীর থেকে ইট ভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দফতরীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এমন মাটি বিক্রির অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় এলাকার সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। লোনা পানি কৃষি জমিতে প্রবেশ করে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির হোসেনপুর গ্রাম সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদী তীর থেকে বিভিন্ন ইটভাটায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। এদের মধ্যেই একজন খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. মোতালেব মিয়া। বর্তমানে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সকল জমি জমার দেখভালসহ খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম বিক্রি করে নদী তীর থেকে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কাঠা ৩ হাজার টাকা দরে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা নদীর তীর থেকে একটি চক্রের মাধ্যমে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ সমূলে ধংস করছে তারা।
হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, এই চক্রটি লাগাতার মাটি কাটার ফলে জঙ্গল বিনষ্টের পাশাপাশি কৃষি জমিরও ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে। স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ফরাজী বলেন, যখন তখন মাটি কেটে নিলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন মাঝি জানান, দফতরী মোতালেব তার কাছে স্কুলের জমি দেখিয়ে কাঠা ৩ হাজার টাকা দরে মাটি বিক্রি করেছে। তাই মাটি কেটে নিয়েছি।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়া বলেন, আমি চরের মাটি বিক্রি করছি। বিদ্যালয়ের জায়গার মাটি বিক্রি করিনি। খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, এ বিষয়টি আমি অবগত নই। মোতালেব বর্তমানে খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। যদি প্রতিষ্ঠানের জমির মাটি বিক্রি করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে মাটি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।