মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশে ভারতের মানুষ পাঠানোর অভিযানে ‘চন্দ্রযান-২’ ২০২২ সালের এপ্রিলে রওনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারত। সাত দিনেরেএই অভিযানে যে তিন জনকে পাঠানো হবে, তাদের মধ্যে থাকবেন এক নারীও। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান কে সিভান বলেছেন, এর ফলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দৌড়ে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হবে ভারত।
১০ বছর আগে চাঁদে প্রথম চন্দ্রযান পাঠানো হয়। ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দ্বিতীয় চন্দ্রযান পাঠানোর কথা ভারতের। প্রযুক্তিগত কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই পিছিয়ে যেতে থাকে তার উৎক্ষেপণ। আবারও পিছিয়ে উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে সিভান বলেছেন, কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানকে ঘিরে। তাই ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ আবার পিছিয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ হবে এপ্রিলের শেষ দিকে। তিনি জানিয়েছেন, অভিযানে যে তিন জনকে পাঠানো হবে, তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ হবে ভারতেই। পরে তাদের উন্নততর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে রাশিয়ায়।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সময় ঘর্ষণের ফলে রকেটে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে। সেই রকম পরিস্থিতি এড়াতে এ বার রকেটে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইসরো। যাতে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে আগুন লাগলেও, তা ছড়িয়ে পড়বে না এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন মহাকাশচারীরা। এই ঐতিহাসিক অভিযানে যাওয়ার সুযোগ কারা পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরো প্রধান বলেন, ‘বিমানবাহিনীর কর্মী, সাধারণ মানুষ, পুরুষ-মহিলা, যে কেউ হতে পারেন। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যোগ্যতমকে বেছে নেওয়া হবে।’
ইসরোর বানানো সবচেয়ে বড় রকেট জিয়োসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি (জিএসএলভি মার্ক-থ্রি)। এটি দিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানো হতে পারে। সংস্কৃত শব্দ ‘ব্যোম’-এর অর্থ মহাশূন্য। তাই প্রথম বার মহাকাশে পা রাখার সুযোগ পাওয়া ওই ভারতীয়দের ‘অ্যাস্ট্রোনট্স’-এর বদলে ‘ব্যোমনট্স’ বলা হবে বলে সিভান জানিয়েছেন।
গত বছর স্বাধীনতা দিবসে ‘গগনযান’ অভিযানের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জন্য ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পে সহায়তার জন্য জন্য ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ফ্রান্সের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি হয়েছে ভারতের। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি তৈরিতে এখনও পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ইসরোর। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।