পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিপুল উদ্দীপনা ও দৃঢ়প্রত্যয়ে অসম্ভব কাজ সম্ভব করা সবসময়ই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একটি হলমার্ক। সম্প্রতি এই বাহিনী কঠিন পরিস্থিতি আরেকটি আশ্চর্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এক অফিসারের চেষ্টায় একটি ট্যাঙ্ক খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের খাইবার জেলায় ১২ হাজার ফুট উঁচুতে সফলভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। এই এলাকাটি বিশ্বের অন্যতম বৈরী ভূখন্ড হিসেবে পরিচিত। আফগান সীমান্তের কাছে খাইবার জেলায় প্রাচীর নির্মাণের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৈয়দ আমির হায়াত শাহের ওপর দায়িত্ব ছিল সন্ত্রাসীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া। এসব সন্ত্রাসী বিভিন্ন উপায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছিল। সাগর সমতল থেকে ১২ হাজার ফুট উঁচুতে ওই স্থানের চরম প্রতিকূল অবস্থানের কারণে সেখানে কোনো ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা ছিল অসম্ভব কাজ। রুটটি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের কঠিন। তবে ক্যাপ্টেন আমিরের চেষ্টায় ২০১৮ সালের ৬ জুলাই পাহাড়ের শীর্ষে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা সম্ভব হয়। খাইবার এজেন্সির ওত উচ্চতায় ট্যাঙ্ক নেয়া একটি রেকর্ড। গত এক বছর ধরে ট্যাঙ্কটি ওই পর্বতের নিচে ছিল। তবে নায়েক কালার খান ও ল্যান্স নায়েক রাজিকুল্লাহ শাহিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে ওই অফিসার ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে অসম্ভব বিবেচিত কাজটি সম্পন্ন করেন। ট্যাঙ্কটি মোতায়েনের পর পাকিস্তান-আফগান সীমানে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় সরাসরি আঘাত হানা হয়। ওই অফিসার পোস্টটির নাম দেন সিবত-ই-হাসান পোস্ট। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।