দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোর কাছে নোঙর ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী তরী (গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার)। মার্কিন তরী বিতর্কিত নৌসীমায় এমন একটি সময় নোঙর করল, যখন বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে আলোচনার জন্য বেইজিং পৌঁছেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এদিকে ‘উসকানিমূলক’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে চীন। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন তরীর অবস্থান নিয়ে মার্কিন প্যাসিফিক ফ্লিটের মুখপাত্র র্যাচেল ম্যাকমার এক বিবৃতিতে বলেন, ইউএসএস ম্যাকক্যাম্পবেল একটি ‘চলাচলের স্বাধীনতা’ অভিযান পরিচালনা করছে। জলসীমাটির ওপর চীনের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তরীটি প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে অবস্থান করছে। ম্যাকমার জানান, অভিযানটি কোনো একটি দেশের বিষয়ে বা কোনো রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশের জন্য নয়। এদিকে গত মাসের শুরুতে ৯০ দিনের জন্য বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সরে আসতে সম্মত হওয়ার পর গতকাল বেইজিংয়ে প্রথম দফা মুখোমুখি আলোচনা শুরু করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হলো। উল্লেখ্য, অন্যায্য বাণিজ্যচর্চা এবং মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগে গত বছর চীনের কয়েক হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংও হাজার হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির বাণিজ্যযুদ্ধে গত বছর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক বাজার। মার্কিন রণতরীর অবস্থান নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে মার্কিন তরী একই সঙ্গে চীনা ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তিনি বলেন, চীন এর বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জ্ঞাপন করছে। ক্যাং বলেন, এ ধরনের উসকানি তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ করার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরো জানান, নৌজাহাজটিকে শনাক্ত এবং সতর্ক করতে চীন এরই মধ্যে সামরিক নৌজাহাজ ও বিমান পাঠিয়েছে। রয়টার্স।