মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দ্রুত শনাক্ত করা গেলে ক্যান্সারের চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করা যায়। চিকিৎসকেরা নতুন এক পদ্ধতির মাধ্যমে কেবল নিঃশ্বাস পরীক্ষা করেই ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে এর কার্যকারিতা এখন পরীক্ষা করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজের ক্যান্সার গবেষকেরা দেখতে চান, কেবলমাত্র নিঃশ্বাসের অনুসমূহ পরীক্ষা করে কয়েক ধরণের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তরা যায় কি না। এই পদ্ধতি যদি সফল হয়, তাহলে চিকিৎসকেরা শুরুতেই নির্ধারণ করতে পারবেন ঐ রোগীর আরো বিশদ পরীক্ষানিরীক্ষার দরকার আছে কি না।
গবেষকেরা এজন্য তারা পনেরশ’ মানুষের নিঃশ্বাসের নমুনা সংগ্রহ করবেন, এর মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন। নিঃশ্বাস ছাড়াও এজন্য একজন ব্যক্তির রক্ত ও মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমেও ক্যান্সার প্রাথমিক ধাপেই শনাক্ত করা যাবে। এর ফলে ক্যান্সারে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেকটা কমে যাবে। তবে, এই পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরীক্ষা জেনারেল ফিজিসিয়ানের মত সাধারণ জায়গায় হবার সম্ভাবনা কম। মানুষের শরীরের কোন কোষে কোন রকম প্রাণ-রসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে সেটি নিঃশ্বাসে ভোলাটাইল অরগ্যানিক কমপাউন্ডস নামে এক ধরণের অনু নিঃসৃত হয়। কিন্তু যদি তাতে ক্যান্সার বা অন্য কোন রোগের আভাস থাকে, তাহলে কোষের স্বাভাবিক ধরণে পরিবর্তন আসে এবং ভিন্ন ধরণের অনু তৈরি করে এবং গন্ধের মাধ্যমে ভিন্ন বার্তা পাঠায় মস্তিষ্কে। নিঃশ্বাসের বায়োপসি করার মধ্য দিয়ে নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে মুখের গন্ধের এই প্রক্রিয়াটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গবেষক দল।
নতুন এই পদ্ধতি মাত্র পরীক্ষা করে দেখা শুরু হয়েছে। ফলে এর সফলতা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে হলে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তবে, যে পদ্ধতির মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে নতুন নয়। কয়েক বছর যাবত পৃথিবীর অনেক গবেষকই বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন। ইতোমধ্যেই নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে ক্যান্সারের আগের ধাপ শনাক্তে কিছুটা অগ্রগতিও দেখা যাচ্ছে।
এতে এক অর্থে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় কমবে। কারণ কারো শরীরে যদি ক্যান্সারের আভাস পাওয়া যায়, আর সেটি আগে থেকে শণাক্ত করা যায়, তাহলে খুব দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু করা যাবে। এছাড়া একটি মাত্র পরীক্ষা কিংবা খুব সাধারণ পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে, সেটি পরবর্তী ধাপগুলোতে সাশ্রয় সম্ভব হয়।
এর আগে গত বছর জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করে চিকিৎসা দেবার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। ঐ পরীক্ষায় ৫০০ ডলারের মতো খরচ হবে। কিন্তু তার তুলনায় এই পরীক্ষাতে খরচ কম হবে কি না তা এখনো জানা যায়নি। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।