সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এরআগে আসামীদের ৭দিন করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নবনিতা গুহ শুনানি শেষে তাদের ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলো, বাদশা আলম, স্বপন, সোহেল, বেচু এবং ঘটনায় জড়িত থাকায় সাবেক ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন প্রকাশ জইস্যা ও হাসান আলী বুলু। চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ৭ আসামীর রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্ত্রীর সহযোগিতায় আবুলসহ গ্রেফতার ২
সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার মামলা ৯নং আসামী সালা উদ্দিন (৩৫) ও ৭নং আসামী আবুল (৪০)কে আটক করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারভুক্ত ও ঘটনায় জড়িত থাকায় এযাবত ৯জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মধ্যবাগ্যা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে সালাউদ্দিন ও একই গ্রামের সেরু মিয়ার ছেলে আবুল।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, রাত ২টার দিকে ফেনীর সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সালা উদ্দিনকে আটক করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল।
তিনি আরো জানান, রোববার বিকেল ৫টার দিকে চরজুবলী ইউনিয়নের আটকপালিয়া বাজার এলাকায় আবুলের স্ত্রী স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আবুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
সুবর্ণচরে একদল নরপিশাচ কর্তৃক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সকলকে দ্রুত আটক ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুবর্ণচরের সচেতন জনতা এবং সুবর্ণ ব্ল্যাড ফাউন্ডেশন। গতকাল সকালে সুবর্ণচর উপজেলার পরিষদের সামনে পৃথক দু’টি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা ওই নারীর উপর পৈচাশিক নির্যাতনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে আটক, মানুষরুপী অমানুষদের সমাজ থেকে বিতাড়িত করা ও আসামীদের ফাঁসির জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচ’সহ ১০জন। এসময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪সন্তানকে বেঁধে রেখে (ভিকটিম) কে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।