Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমেছে শৈত্যপ্রবাহের জোর তবে ফের বৃদ্ধির পূর্বাভাস

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল, বন্দরে ২ নম্বর সঙ্কেত

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আন্দামান সাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পাবক’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। অসময়ে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের বর্ধিত প্রভাবে দেশের অধিকাংশ স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকাগুলোতে কমেছে শীতের জোর। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল (রোববার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনী ও টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৭.৫ এবং সর্বনিম্ন ১৩.১ ডিগ্রি সে.।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যহত থাকতে পারে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পাবক’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী
সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ