পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1722052105](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, চিরবৈরী ভারতের যেকোনো পদক্ষেপের জবাব দিতে তারা প্রস্তুত। এছাড়া দিল্লির সা¤প্রতিক যুদ্ধাবস্থা তৈরির পেছনে অভিসন্ধি রয়েছে বলেও জানিয়েছে পাক বাহিনী। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, সীমান্ত থেকে আসা যেকোনো হুমকির উপযুক্ত জবাব দিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, মিথ্যা দাবি কিংবা বাগাড়ম্বরপূর্ণ বিবৃতির জবাবে তাদের প্রস্তুতি না, বরং ভারত থেকে স্থায়ী হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পেশাগত জবাবদিহিতা থেকে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। ডনের খবরে বলা হয়, এক সাক্ষাতকারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তান তার আচরণের পরিবর্তন আনবে বলে ভাবলে সেটা হবে বড় ভুল। পাকিস্তানের আচরণে পরিবর্তন আনতে সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ গফুর বলেন, ভারতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ও ঘরোয়া কারণে তারা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করছে। ডনের খবরে বলা হয়েছে, যেকোনো কৌশলগত ভুল হিসাব নিয়ে ভারতকে বারবার সতর্ক করেছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করলে তা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সাউথ এশিয়ান মনিটর জানায়, পাকিস্তান আবারো ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ভারতের মনগড়া কল্পনা হিসেবে উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার বলেছে, ওই ধরনের কিছু ঘটেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে সন্ত্রাসী কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল তার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে নববর্ষে এক সাক্ষাতকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বক্তব্য প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন। ফয়সাল বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি ভারতীয়দের মনগড়া কল্পনা। ভারতীয় মিডিয়া পর্যন্ত তাদের সরকারের এ ধরনের দাবির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছে। মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে মোদি জোর দিয়ে ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গে বলেন, মাত্র একটি ‘যুদ্ধেই’ পাকিস্তান শুধরে যাবে, এমনটি ভাবা ‘বড় ভুল।’ তিনি বলেন, একটি যুদ্ধের মাধ্যমে কোনোভাবেই পাকিস্তান ভালো হবে না। এই জাতিটির ভালো হতে সময় লাগবে। তবে আমরা কি বোমার মধ্যেই কোনো কিছু শুনব? তিনি আরো বলেন, ভারতের সব দলের সব প্রধানমন্ত্রীই কখনো পাকিস্তানের সাথে সংলাপের বিরোধিতা করেনি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে ফয়সাল বলেন, ভারতের সাথে সংলাপ চায় ইসলামাবাদ। তবে নয়া দিল্লি সবসময় তা এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত এড়িয়ে যেতে থাকলে আমরা তেমন কিছুই করতে পারি না। এতে দুটি টাঙ্গোর প্রয়োজন হয়। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে পাকিস্তানের নীতির কথা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। ভারতও স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না। ডন, এসএএম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।