রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বৃহত্তর উপজেলা ফটিকছড়ি দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে মন্ত্রী বঞ্চিত। তাই চার বার নির্বাচিত এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে এবার মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের ফটিকছড়িবাসী।
জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকার ফটিকছড়ি থেকে কাউকে মন্ত্রী করেননি। সবচেয়ে বেশী সময় এ আসনটি ধরে রাখা আ.লীগ স্বাধীনতা পরবর্তী কাউকে মন্ত্রী বানাইনি। অথচ ১১টি সংসদ নির্বাচনের ৮টিতেই; অর্থাৎ ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ এবং ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগই এ আসনটি নিজদের দখলে রেখে দিয়েছে, কিন্তু মন্ত্রী বানাইনি কাউকে। টানা তিন বার ক্ষমতায় থাকা এ আ.লীগও ফটিকছড়ি থেকে মন্ত্রী বানাবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বর্তমানে নির্বাচিত এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে ফটিকছড়িতে ‘হাটহাজারী-ফটিকছড়ি মহাসড়ক চারলেন, ফটিকছড়ি-হেয়াকো মহাসড়ক দু’লেন, ফটিকছড়ি ডিগ্রী কলেজ ও করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণ, নাজিরহাট-মাইজভান্ডার সড়ক দু’লেন, হালদা নদীর বেড়ীবাধ, প্রায় ৪০টি কলেজ-বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হলেও বিশাল আয়তনের এ ফটিকছড়িতে তা অপ্রতুলই রয়ে গেছে। তাই যে আ.লীগ ১১ এর মধ্যে ৮ বার ফটিকছড়ি আসনকে ধরে রেখেছে; এবার নিরঙ্কুশ বিজয়ী সেই আ.লীগ থেকে মন্ত্রীত্ব চায় সর্বস্তরের ফটিকছড়িবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।