পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র কুরআন মাজীদে হাত রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ১১৬তম কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের (প্রতিনিধি পরিষদ) সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমর। বৃহস্পতিবার এই শপথের মাধ্যমে তারা হলেন মার্কিন ৪৩৫ সদস্যের মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের প্রথম মুসলিম নারী সদস্য।
ডেমোক্রাট দলের পক্ষে মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব (৪২) ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি পবিত্র কুরআনের ১৭৩৪ সালের ইংরেজী অনুবাদ দিয়ে শপথ নেন। এই অনুবাদটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সংগ্রহে ছিল। তালিবের পরিবার ইসরায়েলের দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকের একটি ছোট ফিলিস্তিনি গ্রামের অধিবাসী ছিল।
মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর (৩৭), তার দাদার ব্যবহৃত পবিত্র কুরআন দিয়ে শপথ নেন। এই দাদাই তাকে লালন-পালন করে বড় করেন।
ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেসকে তালিব বলেন, ‘থমাস জেফারসনের ব্যবহৃত কুরআন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক আমেরিকান মনে করেন যে, ইসলাম কোনভাবেই আমেরিকান ইতিহাসের অংশ নয়।’ তিনি বলেন, ‘মুসলমানরা শুরুতে ছিল। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠাতারা বর্তমান কিছু কংগ্রেস সদস্যের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে আরও অনেক বেশী জানতেন।’
হাউস চেম্বারে হিজাব পরে আসা প্রথম মুসলিম নারী ওমর, যেখানে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের হ্যাট বা হেড স্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার সাথে অনুষ্ঠানে আসেন তার পিতা নূর মোহাম্মদ। তিনি কার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, তার পরিবার সোমালিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার ২৩ বছর তার মেয়ে কংগ্রেস সদস্য হলেন।
পাবলিক রেডিও ইন্টারন্যাশনাল (পিআরআই) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে তিনটি বিষয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে নেমেছেন, তালিব ও ওমর সেই তিন বিষয়, অভিবাসী, মুসলমান এবং নারীর প্রতিনিধিত্ব করলেন। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।