Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দ আশরাফের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫৬ পিএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ৪ জানুয়ারি, ২০১৯

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এবং আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও সৈয়দ আশরাফের আত্মীয় আনোয়ারুল কবীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আশরাফুল ইসলামের মৃতুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত বছর ২৩ অক্টোবর তার স্ত্রী শিলা ইসলাম মারা যান। তিনি একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলামসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন। গতকাল নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও তিনি চিকিৎসাধীন থাকায় শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন। সে চিঠিটি গতকালই স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারিতে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।



 

Show all comments
  • Mamon ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৯ পিএম says : 0
    লোকটার কথা আছে হঠাৎ মনে হল তখন ওবায়দুল কাদের সাথে তুলনা করে দেখলাম উনার কথাবার্তা অনেক মাধুর্য ছিল ওবায়দুল কাদেরের তুলনা অনেক ভালো মানুষ ছিলেন আল্লাহ উনার বেস্ত নসিব করুক
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:১৩ এএম says : 1
    এইটা তো হিন্দুও ছিলোনা আর সে বলেছে মোসলমান ও নয়। এখন তার জন্য কি ব্যবস্থা তার তো জানাজা পড়া ঠিক হইবে না। যে জানাজা পড়িবে সে ও মহা পাপী হইয়া ধংস হইবে। এছারা নিরবাচনে যে, যে জাতির সাথে মোনাফিকি করিয়াছে ওদের জানাজা পড়া ও তো নিষেধ। মোনাফিকদের জানাজা পড়িতে নাই। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply
  • sm mozibur ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম says : 1
    ধর্মনিরোপেক্ষো ছিলো তাই ইন্না লিল্লাহি বলতে পারলাম না। যা করেছে তা পেয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Mofazzal Hossain ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:৪৯ পিএম says : 1
    We all will be departed from this universe like Ashraf. Kidnapping vote, arresting opposition, hijacking the democracy, using muscle power and police man to arrive Mashnad, but nothing will remain after arrest your heart. So why we do that? We should have need to think it reality.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:২৯ এএম says : 0
    আজ আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) আমাদের মধ্য থেকে একজন উপযুক্ত সহযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক জনদরদী প্রাণ প্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে হারালাম। মহান আল্লাহ্‌ বলেছেন জেহাদে যারা মারা যান তারা শহীদ হন এবং যারা জেহাদ করে জীবিত ফিরে আসেন তারা হলেন গাজী। তাই আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে মোনাজাত করছি তিনি গাজীদের জন্যে যে ওয়াদা করেছেন সেটা যেন আমাদের নেতা মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দেন। আল্লাহ্‌ আপনি দেখছেন এবং শুনছেন কোটি কোটি মানুষ ওনাকে একজন ভাল মানুষ হিসাবেই বলছে কাজেই আপনি এই কোটি কোটি লোকের ইজ্ঝতের কথা চিন্তা করে ওনাকে আপনি কবরে গাজীর মর্যাদা দিয়ে আমাদেরকে বাধিত করিবেন। আল্লাহ্‌ আপনি আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সৈয়দ আশরাফ

৩ জানুয়ারি, ২০১৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ