বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর পুলিশ-যুবলীগের সংঘর্ষ ও সদর হাসপাতালে ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকসহ যুবলীগের ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় আটককৃত ১০জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসারত আওয়ামীলীগের এক নেতার উপর হামলা ঘটনায় পুলিশের সাথে যুবলীগের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০জন আহত হয় এবং যুবলীগের ১০ নেতাকে আটক করা হয়। পরে রাতেই সদর থানার এসআই আবদুল আলীম বাদী হয়ে যুবলীগের ২৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যুবলীগ নেতা মাহাবুবুল হক মাহবুব, রুপম হাওলাদার, ইকবাল হোসেন হিমেল ক্বারী, মিজানুর রহমান, আশিক মাহমুদ, আকিব খাঁন, রেজাউল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, আজগর আলী ও মোহাম্মদ আলী। তারা সবাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার দিন (বুধবার) দুপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশ সদস্যদের মারধর এবং হাসপাতালে বিশৃংখলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। অপরাধী যতবড়ই হোক। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
প্রসঙ্গত, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আটিয়াতলী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে একটি ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে দেলোয়ারকে পিটিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ খবর পেয়ে ফজলুর রহমানের সমর্থকরা জড়ো হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত দেলোয়ার হোসেনের উপর দ্বিতীয় দফায় ওপর হামলা চালান। এ সময় উপস্থিত পুলিশ তাদের বাধা দিলে আওয়ামী ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপরও হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধলে এসআই আব্দুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপুসহ ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় যুবলীগের ১০ নেতাকর্মীকে ঐদিনই গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।