Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্মীপুরে সরকারী কাজে বাধা,মারধর ও হাসপাতাল ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকসহ ৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার-১০

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক অফিস | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ পিএম

লক্ষ্মীপুরে পুলিশের কাজে বাধা,মারধর ও সদর হাসপাতাল ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানসহ যুবলীগের ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। বুধবার রাতে সদর থানার এসআই আবদুল আলীম বাদী হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আটককৃত যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান.রুপম হাওলাদার,ইকবাল হোসেন হিমেল ক্বারী,মিজানুর রহমান, আশিক মাহমুদ, আকিব খাঁন, রেজাউল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, আজগর আলী ও মোহাম্মদ আলীকে এ মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ১০জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পুলিশের কাজে বাধা, মারধর এবং হাসপাতালে বিশৃংখলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। অপরাধী যতবড়ই হোক। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।

উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় এক যুবক দেলোয়ার হোসেন। পরে দেলোয়ার হোসেনকে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। একই উপজেলার ঠাকুর বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান। এসময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা ও দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, সদস্য নয়ন, মেহেদী, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন। এর আগেও ওই যুবক দেলোয়ার হোসেন আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। ওই মামলায় সে দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর গত কয়েকদিন আগে দেলোয়ার হোসেন জামিনে বের হয়ে এসে বধুবার পূনরায় এ ঘটনা ঘটায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ