পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে নভেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১৪ দশমিক ০১ শতাংশে। এ হার ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওই সমেয় ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অবকাঠামো দুর্বলতা, সুদের উচ্চ হার এবং গ্যাস বিদ্যুতের সঙ্কটসহ নানা কারণকে দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নির্বাচনের বছরে ব্যাংকগুলোর ঋণে লাগাম টানতে গত জানুয়ারিতে ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) কমানো এবং সুদ হার কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংক খাতে তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়। এতে করে কমছে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে। যার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ঋণ প্রবাহ কম রয়েছে। যার প্রধান কারণ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের কারণে বড় বড় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে যায়নি। যে জন্য ঋণ প্রবাহ কমেছে। এছাড়া অবকাঠামো সমস্যা, সুদের উচ্চ হার, গ্যাস বিদ্যুতের সঙ্কট, ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়ানোসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ মন্দা রয়েছে।
তিনি জানান, নির্বাচন শেষ হয়েছে এখন বিরোধীপক্ষ থেকে যদি কোনো অস্থির কর্মসূচি না আসে; রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে তাহলে আগামীতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে, গত অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশে। এর আগে গত আগস্ট শেষে প্রবৃদ্ধি নেমেছিল ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশে। আগের মাস জুলাইতে যা ছিল ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এদিকে এক অংকে সুদহার নামিয়ে আনার প্রুতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেনি ব্যাংকগুলো। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডাবল ডিজিটে (১০ শতাংশের বেশি) ঋণের সুদ আদায় করছে দেশী বিদেশি ২৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস শেষে ২৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের বেশি আদায় করছে। আর ৩৬টি ব্যাংকের স্প্রেড ৪ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। অক্টোবর শেষে ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এর মধ্যে অনেক ব্যাংক এখনও স্প্রেড নিচ্ছে ৮ শতাংশের ওপরে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।