Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরক্কোর নারীদের কাছে কুমারীত্ব পরীক্ষা ধর্ষণের শামিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৬ পিএম

মরক্কোর গ্রামগুলোতে নারীর কুমারীত্ব পরীক্ষা করার সাধারণ প্রথা রয়েছে৷ তবে কেবল মরক্কো নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রথা প্রচলিত আছে৷ মরক্কোর গ্রামগুলোতে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা৷ এখানে এমন ধাত্রীরা এই পরীক্ষা করেন, যাঁদের যথার্থ প্রশিক্ষণ নেই এবং বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত মেয়েদের এই ভয়াবহ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নিয়মিত যেতে হয়৷ তবে এই ধাত্রীদের উপর পরিবারের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ তবে, এখন নারীরা এ প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন৷ তারা মনে করেন, এ ধরনের পরীক্ষা ধর্ষণের শামিল৷
এ বিষয়ে মরক্কোর মরিয়ম জানান, তার বয়স ২৪ বছর৷ তিনি অবিবাহিত৷ শৈশবেই তাকে কুমারীত্ব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷ এই পরীক্ষাকে তিনি বর্বরোচিত এবং ভয়াবহ বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন৷ এটা নারীত্বের অধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি বলেন, প্রতিটি নারীর কাছেই এই পরীক্ষা ধর্ষণের মতো, কেননা, এতে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি নারীরা মানসিক কষ্টও ভোগ করেন৷
নিয়মিত এই পরীক্ষা করেন এমন এক ধাত্রী জানান, ‘এটা একটা গুরু দায়িত্ব, কেননা, এর মাধ্যমে অনেক পরিবারের গোপন তথ্য জানতে পারি আমি৷ কিন্তু আমি সেগুলো প্রকাশ করি না, কেননা, কুমারীত্ব একটা পরিবারের সম্মানের বিষয়৷’ হাত দিয়েই সতীচ্ছদ পরীক্ষা করেন বলে জানালেন তিনি৷
মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীরা অবিলম্বে এ ধরনের পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন৷ এটা ধর্ষণের অন্য রূপ বলে মন্তব্য করেছেন তারা৷ অধিকার-কর্মী সারাহ আল আওনি জানালেন, ‘আমরা নারীদের সচেতন করে তুলছি, যাতে তারা নিজেরাই এর প্রতিবাদ করতে পারে৷’ পাশাপাশি ‘কুমারীত্ব বিয়ের অন্যতম শর্ত’ এমন ধারণার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা৷ এ ধরনের পরীক্ষায় অপরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, যা নানা ধরনের সংক্রমণের সৃষ্টি হয়৷ সারাহ জানালেন, এই ধাত্রীরা অনেক সময় গর্ভপাত করান, যা অবৈধ এবং এতে অনেকের মৃত্যুও ঘটেছে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 



 

Show all comments
  • Muhammad Jakarya ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫৪ পিএম says : 0
    It is shameful for humankind! So the barbaric custom should be abolished.
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed ajmir afif ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১৮ পিএম says : 0
    It is not right to do this because it is a matter of respect for quality.Besides, many countries used to have this practice, but now it is slowly being stopped.
    Total Reply(0) Reply
  • jafor ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:৫৭ পিএম says : 0
    এই আইন যেই কুলাঙ্গার করেছে সে মনে হয় ইহুদীদের জারজ সন্তান হবে তা না হলে নারীদের গোপন অঙ্গ হাত দেওয়ার সাহস পায় কোথার থেকে আমি যদি সেই রাষ্ট্রের জনগণ হইতাম তাহলে এই কুলাঙ্গারকে টুকরো টুকরো করে কুকুরকে খাওয়াতাম
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরক্কো

১১ ডিসেম্বর, ২০২২
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ