যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
আমরা নানা রকম শাক খাই। শাক মানেই সবুজ। সবুজ মানেই নানা ভিটামিনের উৎস। মূলত বেশিরভাগ সবুজ শাকে প্রচুর পুষ্টি গুণ রয়েছে। তবে শাকের রং লালও হয়। যেমন লাল শাক। লাল শাকেরও গুণের শেষ নেই। পুষ্টির ভাল উৎস হওয়ার পাশাপাশি এটিকে ওষুধি হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। এই শাকের ডাঁটায় লাল রঙের তরল থাকায় এর পাতা ও ডাঁটা লাল দেখায়। আমাদের দেশে লাল শাক সাধারণত ভেজে খাওয়া হয়। এ ভাজি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। খাওয়ার বাইরে লাল শাক নানা রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে লাল শাক ব্যবহৃত হয়। জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে ৫০ গ্রাম শক্তি, দশমিক শূন্য ৮ গ্রাম ভিটামিন বি ১ এইচ, দশমিক ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়া এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ , সি, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারও পাওয়া যায়।
লাল শাক সকল পরিবারে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। কারণ এ শাকটি নিয়াসিন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। লাল শাকে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে কোলন পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল কমায়।
নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্ত পরিশোধিত হয় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকায় এটি রক্তপ্রবাহের উন্নতি ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে ফাইবারের উপস্থিতির কারণে কিডনির কার্যকারিতা ভাল থাকে ।
ভিটামিন এবং বিভিন্ন পুষ্টির ভাল উৎস হওয়ায় লাল শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন ই, কে, আয়রণ এবং বিভিন্ন খনিজ শরীরের যে কোনো ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। লাল শাক যেহেতু ভিটামিন কে’র ভাল উৎস, তাই হাড় সুরক্ষাতেও ভ‚মিকা রাখে। খবর : বোল্ড স্কাই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।