মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনে কত শিশু জন্মাচ্ছে তার রেকর্ড রাখা শুরু হয় ১৮৩৮ সালে। এই হিসেব পরীক্ষা করলে একটা ব্যাপার বেরিয়ে আসে, প্রতি বছরই জন্ম নেয়া শিশুদের মধ্যে ছেলে বাচ্চার সংখ্যা মেয়ে বাচ্চার চেয়ে বেশি। রানী ভিক্টোরিয়ার সময় থেকে এমন কোন বছর নেই যেখানে মেয়ে শিশু বেশি জন্মেছে । যেমন ২০১৭ সালে ব্রিটেনে মেয়ে শিশু জন্মেছে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫টি, কিন্তু ছেলে শিশু জন্মেছে প্রায় ১৭ হাজার বেশি- মোট তিন লাখ আট হাজার ৭১টি।
এর কারণ জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেব মতে সদ্য জন্মানো শিশুদের মধ্যে ‘প্রাকৃতিক’ জেন্ডার অনুপাত হলো, প্রতি ১০০টি মেয়ে শিশুর বিপরীতে ১০৫টি ছেলে শিশুর জন্ম হচ্ছে।
সারা পৃথিবীতেই এ অনুপাত মোটামুটি একই। শুধু চীন বা ভারতের মতো কিছু দেশ ছাড়া। কারণ সেখানে পিতামাতার কাছে ছেলে শিশু অধিক কাঙ্খিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু কি কারণে ছেলে শিশু বেশি জন্মায়, তা এখনো বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেন নি। তাই এ নিয়ে একাধিক ‘তত্ত্ব’ আছে।
এর মধ্যে একটি তত্ব হলো এটি বিবর্তনবাদের একটা দৃষ্টান্ত। প্রথম তত্ত্বটা হলো: পুরুষ হিসেবে বেড়ে ওঠাটাই একটা বিপজ্জনক ব্যাপার। কারণ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই তার অল্প বয়সে মারা যাবার সম্ভাবনা মেযেদের চাইতে বেশি। সেটা হতে পারে তা দুর্ঘটনা, ঝুঁকি নেয়া, আত্মহত্যা বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা এমন যে কোন কারণে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড স্টাইনজালৎস বলছেন, যে কোন স্থানকালপাত্রেই পুরুষের মারা যাবার ঝুঁকি নারীর চেয়ে বেশি। তাই বিবর্তনের নিয়মেই পুরুষ শিশুর জন্ম বেশি হচ্ছে, যাতে শেষ পর্যন্ত পরিণত বয়সে নারী ও পুরুষের সংখ্যায় একটা সমতা থাকে।
আরেকটি তত্ব হলো, সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, সেটা নির্ধারণ হওয়ার প্রক্রিয়া। নারীর ডিম্বাণুকে নিষিক্তকারী শুক্রাণুটি যদি ‘ওয়াই’ ক্রোমোজোম বহনকারী হয়, তাহলে সন্তান হবে ছেলে। ‘এক্স’ হলে সন্তান হবে মেয়ে। এখন কোটি কোটি শুক্রাণুর মধ্যে নিষিক্তকরণের প্রতিযোগিতায় কোনটি জয়ী হবে তা নির্ভর করে পিতামাতার বয়েস, নারীর ঋতুচক্র, মানসিক অবস্থা, খাদ্য, এমনকি কোন ভঙ্গীতে তাদের যৌনমিলন ঘটছে তার ওপর। বলা হয়, ওয়াই ক্রোমোজোমবাহী ‘পুরুষ’ শুক্রাণু জরায়ুর ভেতর বেশি সময় বাঁচে না কিন্তু তারা দ্রুত ছুটতে পারে। অন্যদিকে ‘নারী’ শুক্রাণু ধীরগতিতে চলে কিন্তু বাঁচতে পারে বেশি সময়। তাই জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব হলো, নারীর ঋতুচক্রের কোন সময়টায় দম্পতি কতবার মিলিত হচ্ছেন এবং কতদিন বিরতি দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে সন্তান মেয়ে না ছেলে হবে। কিন্তু অভিভাবকরা যাই বলুন, বিজ্ঞানীরা অবশ্য মনে করেন এসব 'পরিকল্পনা' করে যৌনমিলন করেও ফলাফলে বিশেষ কোন পার্থক্য হয় না।
আরেকটি তত্ব হতে পারে কিছু গবেষণার ফলাফল। গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা-মা যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে মেয়ে শিশু জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। অন্যদিকে যুদ্ধ বা সংঘাতের মধ্যে যে বাবা-মায়েরা বাস করছেন তাদের ছেলে সন্তান বেশি হতে পারে। কিছু গবেষণায় আভাস পাওয়া গেছে যে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কন্যা ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাবার ঝুঁকি বেশি। কিন্তু অন্য কিছু জরিপে দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ দিকে পুরুষ ভ্রুণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে এবং এর ফলে মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে আসলে গর্ভকালীন সময়ে ঠিক কি ঘটে এবং কেন ঘটে তা নির্ভূলভাবে বলা খুবই কঠিন।
মোটের ওপর, আমরা এটাই দেখি যে ছেলে ভ্রুণই পরিণত অবস্থা পর্যন্ত বেশি পৌঁছায় এবং ছেলে শিশুর জন্মই বেশি হয়। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।