রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আ.লীগের নৌকার প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী ফুরফুরে মেজাজে আরামে রয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার সর্বত্র। তিনি প্রতিদিন অন্তত দুটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করে চলেছে। বিগত সময়ে তার সাথে দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করে আসছিল, তারা তাকে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করায় তিনি এখন চিন্তামুক্ত।
বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে সমঝোতা হওয়ায় মাঠে প্রচারণার পাল্লা ভারী হয়ে উঠেছে। তিনি গণসংযোগকালে লোকজনকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তার নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কোনো ধরনের সহিংসতা হবে না। তিনি বলেন জনগণ তাকে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভোট দেবে। কারণ বিগত ১০ বছরে তিনি পটিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক ভবন নির্মাণসহ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। যা বিগত সরকারের আমলে এত উন্নয়ন হয়নি। তা ছাড়াও তিনি সবসময় পটিয়ায় অবস্থান করে মানুষের যে কোনো সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। কোনো কাজে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে নি তার কাছ থেকে। তিনি কাউকে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তার কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করে লোকজন তাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদী।
অন্য দিকে, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক এনাম মহা টেনশনে রয়েছেন। তিনি জানান, বিগত ১০ বছরে আ.লীগ তাকেসহ তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আটটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নানান প্রতিক‚লতার মধ্যেও তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে নামলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মাঠে স্বাভাবিকভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারছেন না। কোনো মিছিল সমাবেশ হলেই রাতেই ওই এলাকা থেকে পুলিশ তার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত তার ৩০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ভয়ে অনেক নেতাকর্মী বাড়িছাড়া হয়েছে। যার ফলে মাঠে কোনো প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছেন না। পুলিশ বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে। আ.লীগের হামলায় ইতিমধ্যে তার প্রায় ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অধিকাংশ ধানের শীষের ব্যানার, পোস্টার আ.লীগ নেতাকর্মীরা ছিঁড়ে ফেলছে। এ ছাড়া ব্যানার, পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে।
এনামুল হক বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আ.লীগ প্রার্থী পুলিশকে ব্যবহার করে তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় আছে। বর্তমানে এলাকায় কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই বললেই চলে। এককভাবে নৌকার প্রার্থী সব মিছিল-মিটিং করে যাচ্ছে। তিনি ইসির কাছে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।