পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে ফোনালাপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্র এমন খবর দিয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি অব্যাহত সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন এরদোগান। জেরুজালেমে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস স্থানান্তর নিয়েও নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা। দুই প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব দেশের ভুল পদক্ষেপের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। গত বছরই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে স্ব-ঘোষিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তর করেন। এতে মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফিলিস্তিনিরাও অব্যাহত বিক্ষোভ চালিয়ে যান। অপরদিকে, ম্যারি ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। রোববার এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়- বর্ণ, ভাষা, ধর্ম ও গোত্র ভিত্তিতে লোকজনের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে তুরস্ক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এরদোগান বলেন, আমাদের নাগরিকরা যাতে মুক্তভাবে ধর্ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিচর্চা করতে পারে, তার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। তিনি বলেন, কয়েক শতক ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির শান্তিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্র হচ্ছে তুরস্ক। এ সময় তুরস্কের সাধারণ মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতি জোর দেন তিনি। তুরস্কের মানুষ পরস্পরের প্রতি সম্মান, ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সবার আগে গুরুত্ব দেয় বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের ক্রিসমাস তুরস্কের সংহতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যকে জোরদার করবে। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস উদযাপন করেন। অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান তাকে বলেছেন- সিরিয়ায় যে কয়েকজন আইএস জঙ্গি অবশিষ্ট আছে, তাদের তিনি উচ্ছেদ করবেন। রোববার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এরদোগান হচ্ছেন এমন একজন মানুষ, যিনি এটি ভালোভাবেই করতে পারবেন। তুরস্ক বিজয়ের খুব কাছেই অবস্থান করছে। এর আগে এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, তাদের আলাপ ছিল দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আইএস ও সিরিয়ায় আমাদের যৌথ সম্পৃক্ততা নিয়ে কথা বলেছি। খুবই ধীরগতিতে এবং সর্বোচ্চ সমন্বয়ের সঙ্গে সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়ে আসা হবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক বিস্তারিত বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে। টুইটারে এরদোগান বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমন্বয় বাড়াতে দুই নেতা একমত হয়েছি। বিশেষ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আনাদোলু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।