নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় ৫৫৪০ টি ইউনিয়ন থেকে প্রায় এক লাখ কিশোর ফুটবলারের এক টুর্নামেন্ট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা এই অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টেকে একটি ক্রীড়া যজ্ঞ বললেও কম বলা হবে। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পার হয়ে নির্ধারিত হল শিরোপার দাবিদার। দীর্ঘ এই পরিক্রমায় নিজেদের প্রমাণের পরীক্ষা দিয়েই রাজশাহীকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। রোমাঞ্চকর ফাইনালটি নির্ধারিত ৮০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র ছিল। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন রংপুর বিভাগের আপন চন্দ্র রায় এবং জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের পুরষ্কার জিতেছেন একই বিভাগের শামীম ইসলাম। ফাইনালে একটিসহ তিনি করেন চারটি গোল।
গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে রংপুরের আক্রমণই ছিল বেশি। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের দেখা মেলেনি কোন শিবিরেই। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই এগিয়ে যায় রংপুর। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বক্সে প্রবেশ করেই জোড়ালো শটে গোল করেন রংপুরের আপন চন্দ্র রায় (১-০)। তবে সেই উল্লাস তাদের স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষন। ৫৭ মিনিটে রাজশাহীর আহাদের দুর্দান্ত এক হেডে ম্যাচ সমতায় ফেরে (১-১)। নির্ধারিত সময়ের খেলা অমীমাংসীত থাকায় রেফারিকে যেতে হয় অতিরিক্ত ১০ মিনিটে। প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিটের খেলাতেই ম্যাচ বের করে নেয় রংপুর। এসমং শামীম ইসলামের দুরন্ত এক হেডে পরাস্ত হন রাজশাহীর গোলকিপার। জয়োল্লাসে মাতে উত্তবঙ্গের জেলাটি। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে পদক ও ট্রফি তুলে দেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আবদুল্লাহ ও বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি নিজেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের কার্যক্রম তদারকি করতেন যা ছিল ক্রীড়ার প্রতি তার গভীর আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান সরকারও দেশে খেলাধূলার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অবকাঠামো সুবিধাসহ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে বঙ্গমাতা-বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ক্রীড়া পরিদপ্তরের এই উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এই টুর্নামেন্ট ফুটবলের মান ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন মো. আবদুল হামিদ, ‘ফুটবলকে আরো জনপ্রিয় করার পাশাপাশি এ টুর্নামেন্ট নতুন নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরিতেও সহায়তা করবে।’
চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলার বেশ উচ্ছ¡সিত জান্নাতুল নাঈম পারভেজ। তার কথায়, ‘রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমি বড় ফুটবলার হতে চাই।’ প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দারুণ খুশি রংপুরের কোচ শামীম খান মিসকিন, ‘ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে। সেই কষ্ট সার্থক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’ রাজশাহী বিভাগের কোচ জহির ইকবাল ভূইয়া বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসবে। ক্রীড়া মন্ত্রনালয় ও ফুটবল ফেডারেশনের উচিত এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।’
জাতীয় পর্যায়ের এই টুর্নামেন্ট থেকে ৪৩ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে টুর্নামেন্ট কমিটি। যাদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই টুর্নামেন্ট থেকে ২ জন খেলোয়াড়কে ব্রাজিলে প্রশিক্ষণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।