২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বালিকাদের দেহে বয়োঃসন্ধির আগে খুবই হালকা বাদামী রঙের অনেকটা ত্বকের রঙের মত লোম, মাথায় কালো বা বাদামী চুল বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু বয়োঃসন্ধি কাল অতিক্রান্ত হবার পর কিছু কিশোরী তাদের মুখে কিশোরদের মত লোম লক্ষ্য করে বিচলিত হতে পারে। কেননা এ লোমগুলোর অবস্থান, রঙ ও বিস্তৃতিতে অনেকটাই দাঁড়ি-গোঁফের মতোই। একে মেয়েদের দেহে অবাঞ্ছিত লোম (HIRSUTISM) বলে। এরকম লোম কিশোরীর বগলে, বুকে বা অন্য স্থানেও থাকতে পারে। কারো কারো হাতে পায়ের লোমগুলো অনেকটা পুরুষালি ধাঁচের হতে পারে। মেয়েদের দেহে পুরুষালি লোমের কারণ, অতিরিক্ত পুরুষ যৌন হরমোন (এন্ড্রোজেন)-এর উপস্থিতি অথবা এর কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়া। এ অবস্থায় শুধু মাত্র অতিরিক্ত পুরুষালি লোমই হবে তা নয়, শরীরের আরও কিছু পরিবর্তন লক্ষনীয় হতে পারে ঃ অতিরিক্ত দুর্গন্ধময় ঘাম হওয়া, শরীরের গঠনে পুরুষালি অবয়ব প্রতিভাত হওয়া। কারো কারো কন্ঠস্বরও পুরুষালি হয়ে যায়। এ সমস্যায় আক্রান্ত অধিকাংশ কিশোরীরই ঋতুস্রাব স্বাভাবিক থাকে না। যে সকল রোগের লক্ষন হিসেবে মহিলাদের শরীরে এমন অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে তা হলো ঃ
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS )
কনজেনিটাল অ্যন্ড্রোনাল হাইপারপ্লাসিয়া (CAH)
কুসিং সিন্ড্রোম (CAH)
গ্রোউথ হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি ((ACROMEGALY, GIGANTISM))
ওভারি বা অ্যান্ড্রোনাল গ্রন্থির টিউমার
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (IR))
হাইপোথায়রয়েডিজম (HYPOTHYROIDISM)
দৈহিক স্থুলতা (OBESITY)
অনেক ক্ষেত্রে কিশোরী বা তার অভিবাবকগন এতে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিছু স্বল্প মাত্রায় অবাঞ্ছিত লোম থাকলেও, তা কোন স্থায়ী হরমোন জনিত রোগের লক্ষন হতে পারে, যা সময়মত চিকিৎসার আওতায় আনলে ভালো ফল পাবার সম্ভাবনা থাকে। এ অবস্থার পেছনের কারণটি সনাক্ত করনের জন্য উপরের তালিকার রোগগুলোর সবকটিরই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। হরমোন বিশেষজ্ঞগন আক্রান্ত কিশোরীর উচ্চতা, ওজন থেকে শুরু করে অতিরিক্ত লোমের বিস্তার, ঋতু¯্রাবের ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে প্রাথমিক ধারনায় পৌছার চেষ্টা করেন। ইতোমধ্যেই হরমোন পরীক্ষার ধরনও ঠিক হয়ে যেতে পারে। প্রায় সবার ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন পরিমাপের প্রয়োজন হবে, কারো কারো ক্ষেত্রে থায়রয়েড হরমোন, এলএইস ((LH), , এফএসএইস (ঋঝঐ), প্রোল্যাকটিন (Prolactin), কার্টিসোল (Cortisol) ইত্যাদি হরমোনও পরিমান করতে হতে পারে। ঈঅঐ - এর জন্য বিশেষ পরীক্ষা করতে হবে সবার ক্ষেত্রে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করতে হবে। খুব সামান্য ক্ষেত্রে হরমোনের অস্বাভাবিকতা ধরা নাও পরতে পারে। কারো কারো পরিবারের প্রায় সকল নারীরই এ রকম অতিরিক্ত লোম থাকতে পারে। রোগ সনাক্ত করণের পর চিকিৎসা দেয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। তবে তা বেশ সময় সাপেক্ষ। কারো কারো জন্য তা ব্যয়বহুলও হতে পারে।
ষডাঃ শাহজাদা সেলিম
সহকারী অধ্যাপক,
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
কমফোর্ট ডক্টর’স চেম্বার
১৬৫-১৬৬, গ্রীনরোড, ঢাকা
ফোন ঃ ৮১২৪৯৯০, ৮১২৯৬৬৭ এক্স- ১১৯
মোবাঃ ০১৭৩১৯৫৬০৩৩, ০১৫৫২৪৬৮৩৭৭,
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।