পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের ৬টি আসনের লড়াইয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের কর্মীরা। প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেমে রাতদিন চষে বেড়াচ্ছেন অলিগলি। সরগরম যশোরে প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ও দোয়া চেয়ে প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন পাশে থাকার।
কেউ সাড়া পাচ্ছেন, কেউ পাচ্ছেন না। মহাজোটের প্রচারণা কয়েকদিন ধরে ভোটের ময়দানে একতরফা ছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট সমানভাবে নেতাকর্মী সমর্থক মাঠে। তারা মরিয়া ভোটের ময়দান দখলে। ভোটের দিন কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আভাস পাওয়া গেছে তরুণ ও মহিলা ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটবে। তাদের মাঝে দেখা গেছে জাতীয় এ নির্বাচন নিয়ে প্রবল আগ্রহ।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে মহাজোট প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মহাজোটের মেজর জেনারেল (অব.) নাছির উদ্দিন ও ঐক্যফ্রন্টের আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন, যশোর-৩ (সদর) আসনে মহাজোটের কাজী নাবিল আহমেদ ও ঐক্যফ্রন্টের অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মহাজোটের রণজিত কুমার রায় ও ঐক্যফ্রন্টের ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে মহাজোটের স্বপন ভট্টাচার্য ও ঐক্যফ্রন্টের মুফতি ওয়াক্কাস এবং যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মহাজোটের ইসমাত আরা সাদেক ও ঐক্যফ্রন্টের আবুল হোসেন আজাদের মধ্যেই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে। যদিও জেলায় মোট ৩৭ জন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন।
জেলার ৬টি আসনের মধ্যে যশোর-১ বাদে ৫টিতেই মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন। তাছাড়া যশোর-৩ ও যশোর-৪ মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্টের দু’জন জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন। যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান বারী মনোনয়ন না পেয়ে লড়াইয়ের ময়দানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। মহাজোটের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা এতে কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছেন। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী জোটের শরিকদের ৩ জন প্রার্থী ৩টি আসন যশোর-২, যশোর-৩ ও যশোর-৫ এ কাগজ কলমে রয়েছেন। তবে প্রচারে নেই। বরং তারা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষেই প্রকারান্তরে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের কথা, ২০১৪ সালে একতরফা ভোটের পর এবার প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের মধ্যে এটি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলায় মোট ২০ লাখ ৯১ হাজার ৪০৩ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় দুই লাখ নতুন ভোটার।
নতুন ভোটারদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। ভোটের পরিবেশ যাই হোক তাদের দমাতে পারবে না কেউ। কোন ভয়ভীতি তাদের স্পর্শ করেনি। পরিস্কারভাবে তারা বলে দিচ্ছেন, যিনি যোগ্য তিনিই ভোট পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।