পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে আইনগত অধিকার নেই, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নারীর অধিকার আদায়ে আওয়াজ তুলেছেন অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। সরকারের মনোভাবও এক্ষেত্রে নারীদের পক্ষে বলেই জানা গেছে বিভিন্ন সময়ে। তবে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার দেয়া হোক তা চায় না। গতকাল রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ অবস্থান জানায়।
হিন্দু মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এক লিখিত বক্তব্যে জানান, ব্যক্তিকেন্দ্রিক বণ্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরণপোষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু শাস্ত্রীয় বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংগঠনটি মনে করে এসব কার্যক্রমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র।
এসব কর্মকান্ডে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৩টি সংগঠন ও প্রায় ২ কোটি হিন্দু চরম উদ্বিগ্ন বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় বলা হয়, বর্তমান হিন্দু আইনে পরিবারের কর্তা হিসেবে পুরুষকে তার স্ত্রী, পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, নাতি-নাতনী এমনকি অসহায় পিসি ও অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের ভরণপোষণ করতে বাধ্য। পরিবারের সমস্ত ঋণ, রাষ্ট্রীয় পাওনা (কর-খাজনা) পরিবারের সদস্যদের ফৌজদারি অপরাধের দায়দায়িত্ব কর্তা পুরুষকেই বহন করতে হবে। সংগঠনটির দাবি হিন্দু আইনে পুরুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার না থাকলেও নারীর আছে।
হিন্দু মহাজোটের নেতারা জানান, নারী তার পিতার সম্পত্তি দাবি করলে তার ননদও তার স্বামীর সম্পদের ভাগ চাইবে। তাই উভয় পরিবারে অশান্তি-কলহ, মামলা-মোকদ্দমার শঙ্কা সৃষ্টি হবে বলে দাবি তাদের। এমতাবস্থায়, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কার না করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানায় জাতীয় হিন্দু মহাজোট। যেখানে বলা হয়, হিন্দু আইনের কোনো রকম সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা হবে না, এমন অবস্থান স্পষ্ট করে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে ঘোষণা করতে হবে। তা না করা হলে সারা দেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। তাতেও কাজ না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, বরিশথ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, প্রকাশনা সম্পাদক সাগরিকা মন্ডলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।