পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির পর সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ফিলিস্তিনের আহ্বানে বিষয়টি আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি অস্ট্রেলিয়াকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের প্রধান ইজ্জাত সালাহ আব্দুলহাদি জানান, ফিলিস্তিনিদের অনুরোধে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া পরিস্থিতি আলোচনার এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় কী ঘটে তা দেখার অপেক্ষায় আছি। এটা নিশ্চিত যে বৈঠকে নিন্দা জানানো হবে।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি নেতারা আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্য রফতানি বন্ধ করতে। একই সঙ্গে জেরুজালেমে অস্ট্রেলিয়ার ইসরাইলি দূতাবাস স্থানান্তর করা হলে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য কার্যালয় স্থাপন এবং দূতাবাসের জন্য জমি খোঁজা শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সিডনিতে সাংবাদিকদের অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া এখন পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা পশ্চিম জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করব যখন বাস্তব পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এবং চূড়ান্ত অবস্থা পর্যালোচনার পর।
দূতাবাসের জন্য নতুন স্থান নির্বাচনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। মরিসন জানান, মধ্যবর্তী সময়ে পবিত্র শহরে একটি প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় চালু করবে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থনের কথা জানান। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেছেন।
আব্দুলহাদি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলকে পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলি রাজধানীর স্বীকৃতির বিষয়ে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, এটা খুব দ্রত নেওয়া সিদ্ধান্ত ছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারি তাদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই কারণ অনেক দেরী হয়ে গেছে। আমরা এতে খুব হতাশ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। বিষয়টি আমাদের নিয়েই অথচ তা আমাদের সঙ্গে আলোচনাই করা হয়নি।
ফিলিস্তিনি এই প্রতিনিধি জানান, ইন্দোনেশিয়ার চাপের কারণেই অস্ট্রেলিয়া তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) রোববার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়াকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জেরুজালেমের অবস্থা পরিবর্তিত হয় এমন যে কোনও পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সংস্থাটি জেরুজালেম নিয়ে আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।