নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশৃঙ্খলা ও চরম অব্যবস্থাপনায় শেষ হলো ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জের খেলা। টুর্নামেন্টে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বিমুকুট জিতেছেন ইন্দোনেশিয়ার লিও রোলি কার্নান্দো। গতকাল পল্টন ময়দান সংলগ্ন শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাঁচটি ইভেন্টের ফাইনালের মধ্যে পুরুষ দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন লিও রোলি কার্নান্দো। পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে ড্যানিয়েল মার্টিনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি থাইল্যান্ডের সুপাক ঝমকোহ এবং ওয়াচিরাইট সুথন জুটিকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন। মিশ্র দ্বৈতে ইদাহ সারি জামিলকে নিয়ে মালয়েশিয়ার হু পেং রোন ও চেহ ইয়ে সি জুটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন লিও। এছাড়া পুরুষ এককে মালয়েশিয়ার টেক জি সু, মহিলা এককে ভিয়েতনামের থুই লিন নগুয়েন এবং মহিলা দ্বৈতে মালয়েশিয়ার হু বিবিয়ান ও ইয়াপ চেং ওয়েন জুটি শিরোপা জয় করে। সমাপণী দিনের খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য সচিব আবদুল মালেক। এ সময় সানরাইজ এন্ড কোম্পানীর প্রমোশন এক্সিকিউটিভ জর্দি এবং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃংখলা দেখা দিলে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। যা দেখে হাসাহাসি করেছেন বিদেশী দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে চ্যাম্পিয়নকে দাঁড় করিয়ে রেখে রানারআপ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য রানারআপকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এমনকি বিদেশী সেমিফাইনালিষ্ট জুটিকে ভুলকরে রানার্সআপ ভেবে গিফট দিলেও তা ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপদের জন্য প্রাইজমানি থাকলেও কোনো মেডেল ছিল না। তাদের দেয়া হয় সস্তা দামের ক্রেস্ট। সেমিফাইনালে খেলা শাটলারদের ব্রোঞ্জজয়ী ঘোষণা করা হলেও প্রদত্ত ক্রেস্টে লেখা ছিল সেমিফাইনালিষ্ট। পুরস্কারপ্রাপ্তদের ডামি চেক দেয়া হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে।
ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ও ব্যাডমিন্টন এশিয়ার সার্বিক তত্বাবধানে এবং ইউনেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে প্রাইজমানি ছিল ২৫ হাজার ডলার। কিন্তু হঠাৎ করেই এ আসরে প্রবেশ ঘটে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক ইলেক্ট্রনিক ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠানের। সমাপণী দিন এই প্রতিষ্ঠান টুর্নামেন্টের পাঁচ ইভেন্টের শীর্ষ দুইজন করে মোট ১৬ জন শাটলারকে তাদের ইলেকট্রিক সামগ্রী উপহার দিলে সবার মনে প্রশ্ন জাগে, ‘কিভাবে এই প্রতিষ্ঠান টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত হলো?’ বিদেশী শাটলার ও কর্মকর্তারা এই প্রতিষ্ঠান দেয়া উপহার সামগ্রি লাঞ্চ বক্স ও বেøন্ডার মেশিন দেখে হাসাহাসি করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সবাই যখন শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে বের হচ্ছেন, তখনই ঘটে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। যে ঘটনায় সবাইকে হতবাক করে। অনুষ্ঠান শেষে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শাহজালাল মুকুল সুভেন্যুর বিতরণকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন। যা এক সময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এ দৃশ্য দেখে হতবাক হন সামনে দাঁড়ানো টুর্নামেন্টের রেফারি মালদ্বীপের আলী আবদুল করিম। পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।