Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট ভোগান্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে গতকাল দিনভর ১২ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে আটকে পড়ে দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহী বাস, কাভার্ডভ্যান, পণ্যবাহী ট্রাকসহ নানা ধরনের যানবাহন। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর যাত্রীরা এ যানজটে আটকে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন। অন্যদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা থেকে ফতেপুর ইউনিয়নের শুভূল্যা পর্যন্ত যানজট ছিল।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, একটানা তিন দিনের ছুটি থাকায় যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং দ্বিতীয় কাঁচপুর ও মেঘনা সেতু নির্মাণের কারণে এক লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় মেঘনাঘাট থেকে যানজট শুরু হয়। এ যানজট শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সোনারগাঁয়ের অংশে যানজট অব্যাহত ছিল বলে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান।
ট্রাফিক পুলিশ ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ভোর থেকে মেঘনা সেতু এলাকায় শুরু হয় যানজট। তা ধীরে ধীরে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা, মদনপুর, কাঁচপুর, শিমরাইল মোড়, মৌচাক, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কখনও কখনও ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে হয় ৩-৪ ঘণ্টায়। নারায়ণগঞ্জে অংশে যানজটের খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ এসে যানজট নিরসনে কাজ করে। যানজটের কারণে দূরপাল্লার নির্ধারিত যাত্রীবাহী বাস সময়মতো আসতে না পারায় শিমরাইল মোড়ের টিকেট কাউন্টারগুলোতে অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়।
চট্টগ্রামগামী একটি বাসের চালক জাকির হোসেন বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে মেঘনাঘাট পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। চট্টগ্রামে যেতে কত সময় লাগবে আল্লাহ জানেন। চট্টগ্রামের যাত্রী ইকবাল জানান, সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য শিমরাইল মোড়ে এসেছি। কিন্তু ৭টার গাড়ি যানজটের কারণে আসতে পারেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ট্রাফিক পুলিশের টিআই মোল্লা তাসলিম হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরে সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট থেকে যানজট শুরু হয়। তা ধীরে ধীরে মেঘনাঘাট থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিকালের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।
অন্যদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা থেকে ফতেপুর ইউনিয়নের শুভূল্যা পর্যন্ত যানজট ছিল। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট লেগেই ছিল।
জানা গেছে, মহান বিজয় দিবসের ছুটিসহ তিনদিনের ছুটিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মানিকগঞ্জ রোডের অনেক যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে চলাচল শুরু করে। সন্ধ্যার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।
একদিকে মহাসড়কে চার লেন উন্নীতকরণ কাজ চলা এবং অপরদিকে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতভর গোড়াই হাইওয়ে, মির্জাপুর থানা ও ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাটুভাঙ্গা রোড, দেওহাটা, মির্জাপুর বাইপাস ও কুর্ণী নামক স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট একপর্যায় ১ থেকে ২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বিকেলেও একই অবস্থা দেখা গেছে। পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
মহাসড়কের মির্জাপুর সদরের পুষ্টকামুরী চড়াপাড়া নামক স্থানে কর্তব্যরত টিআই মো. ইফতেখার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ চলায় বিভিন্ন স্থানে প্রচুর ধুলা উড়ছে। এ কারণে সামনে কিছু দেখা যায় না। ধুলার কারণে যানবাহনের চালকরা ধীর গতিতে যান চালান। তাছাড়া যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন না মেনে যান চালানোর কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ