পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। এদেশে ইউপি, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রার্থীরা দলীয় বা ব্যক্তি পর্যায়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এটি মূলত নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থীরা কী করবেন, তার প্রতিশ্রুতি দেয়া। নির্বাচনের আগে ভোটারসহ সর্বমহল ইশতেহারকে অনুসরণ ও ক্ষমতায় থাকাকালীন কাজের মূল্যায়ন করেই ভোট দেয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হবে বহুল আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। নির্বাচনে প্রধানত দুটি জোট প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নেমেছে। জোট দুটি হলো; ক্ষমতাসীন আ’লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দুই জোট নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে।
শিক্ষিত ও সচেতন ভোটাররা নির্বাচনী ইশতেহারকে প্রাধান্য দিয়েই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়। এবারের ইশতেহার হোক মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এমনই দাবি সচেতন যুব সমাজের। কারণ, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমাজের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে।
মাদক ও মাদকাসক্তি বর্তমানে এক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মাদকসেবী কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতী। অথচ তাদের ওপর দেশের শিক্ষা-দীক্ষা, উন্নতি, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল। যুবকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্তিতে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ ভয়ঙ্কর অভিশাপ থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা জরুরি। যুবকরা ছাড়াও কতিপয় আমলা ও রাজনৈতিক নেতা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ফেনসিডিল, মদ ও ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদকদ্রব্য নেশার সৃষ্টি করে। মাদক সেবনের ফলে ক্ষতিকর দিকগুলো হলো: ১. সুস্থ মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়। ২. জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি লোপ করে দেয়। ৩. ধীরে ধীরে মানুষের হজম শক্তি বিনষ্ট হয়ে যায়। ৪. খাদ্যস্পৃহা কমে যায়। ৫. চেহারা বিকৃত হয়ে পড়ে। ৬. শারীরিক ক্ষমতা লোপ পায়।
এ সকল ক্ষতিকর প্রভাব জানা সত্তে¡ও অনেকেই মাদক পাচারের সাথে জড়িত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাদক পাচার করে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করছে, যার প্রভাব আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর পড়ছে। মাদক ইসলামের দৃষ্টিতে যেমন হারাম এবং রাষ্টীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশকে মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এবারের নির্বাচনে আগে উভয় জোটের সহনশীল অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। আর সচেতন তরুণরা ইশতেহারে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মসূচি চায়। মাদকের ছোবলের কারণে সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে তরুণ-তরুণীরা। তাই এ দুটি বিষয়ে কঠোর হলেই দেশের আরও অগ্রগতি হবে। উন্নয়নের পথে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
লেখক: সাংবাদিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।