প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কনক চাঁপা। তিনি এখন নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এর মাঝেই সম্প্রতি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আরেক জনপ্রিয় শিল্পী মনির খানকে নিয়ে। নিজের এলাকায় প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কনক চাঁপা বলেন, প্রচার প্রচারণা আর কই করতে পারছি। এলাকায় আমার লোকজন প্রচার প্রচারণা করতে গিয়ে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সবার জন্যতো আর সমান অধিকার নয়। তারপরও নির্বাচনে যেহেতু করছি, প্রচার প্রচারণাতো চালাতেই হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। তবে আমি এটাকে প্রচার বলতে চাই না, মাঠ গোছানোর কাজ বলতেই সাচ্ছ্যন্দবোধ করি। তিনি বলেন, আমি এলাকায় বিএনপির হয়ে কিছু করছি, এটা এমন নয়। আমি সাধারণ মানুষ হিসেবেই যা করার করেছি। রাজনীতি করবো এজন্য এক্সট্রা কিছু করিনি। সাধারণ মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের জন্য কিছু করার অভ্যাস আমি পারিবারিকভাবেই পেয়েছি। এটা আমার পরিবারের ঐতিহ্য। কনক চাঁপা বলেন, দল থেকে আমাকে নমিনেশন দেয়াতে আমার এলাকার মানুষ এতো খুশি, এতো উজ্জীবিত সেটা বলার মতো না। এতোদিন ফোনে ফোনেই সবার সাথে কথা হয়েছে। সামনা সামনি দু তিনটা মিটিং হয়েছে, তারপরও আমাকে নিয়ে তাদের যে প্রত্যাশা তা বিস্ময়কর। এখন আল্লাহ ভরসা। আশা করি, ঠিকঠাক মতো ভোট গণনা হলে আমি নিশ্চিতভাবে ভালো ফল করবো। ভোটের রাজনীতিতে আমি হয়তো নতুন, কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমার শ্রম বৃথা যাবে না। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত আরেক সঙ্গীতশিল্পী মনির খান সম্পর্কে কনক চাঁপা বলেন, তিনি আমার সহশিল্পী। আমরা একসঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। উনি এবার নির্বাচন করছেন, এটা আমাদের শিল্পীদের জন্য আনন্দের খবর ছিলো। কিন্তু শেষ সময়ে তাকে দল মনোনয়ন না দেয়ায় শিল্পী হিসেবে আমিও কষ্ট পেয়েছি। দল কী কারণে শেষ সময়ে এসে এমন সিদ্ধান্ত নিলো, এটা আমি জানি না। এটা নীতি নির্ধারক যারা আছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ সেটা বড়দের জায়গা। ওই বিষয় নিয়ে বলতেও পারবো না। তিনি বলেন, মনির খান অবশ্যই একজন পরিশ্রমী নেতা। একজন সত্যিকারের নেতা হওয়ার মতোই তার পার্সোনালিটি। মানুষ তাকে এত ভালোবাসে, তার কথা এতো মনযোগ দিয়ে শোনে, সেটা বলার মতো না। মনির খান রাস্তায় হাত তুলে দাঁড়ালেও হাজার লোক জড়ো হয়ে যায়, শুধু তার কথা শোনার জন্য। তিনি অসম্ভব ভালো একজন মানুষ, এবং বোল্ড একজন নেতা। নেতা হওয়ার যে গুণ, তার উপস্থিতিতে একশো ভাগই ছিলো। কনক চাঁপা বলেন, দুঃখ বা কষ্ট পেলেও মনির ভাই দল থেকে রিজাইন না দিলেও পারতেন। আসলে এটা তিনি অভিমান থেকেই করেছেন বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। বহুদিন ধরে তিনি দলের সাথে আছেন। নানা ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করেছেন। বহুদিন ধরে মাঠও গুছিয়েছেন। আর শিল্পী হিসেবেওতো তিনি বেশ জনপ্রিয়। রাজনীতিবিদদের যেমন আগে মাঠ গুছাতে হয়, তারপর জনপ্রিয় হতে হয়, শিল্পীদের ক্ষেত্রে তা করতে হয় না। শিল্পীদের জনপ্রিয়তা আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকে। এটা তাদের জন্য অ্যাডভানটেজ। আমার ক্ষেত্রেও যেমনটা হচ্ছে। কিন্তু মনির ভাইতো শিল্পী হিসেবে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি বহুদিন ধরে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও তার উঠাবসা ছিলো। তারপরও কেন তাকে নমিনেশন দেয়া হলো না, সেটা দলই ভালো বলতে পারবে। দলের ভালো মন্দটাতো নিশ্চয় নীতি নির্ধারকরাই ভালো বোঝেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।