বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট বাজার জিরো পয়েন্টে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের পূর্ব ঘোষিত পথসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় সংঘর্ষে উভয় দলের ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে বিএনপির ৩০ জন এবং আওয়ামী লীগের ১০ জন রয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে। হামলায় কমপক্ষে ২৫টি দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও বিএনপি অফিস ভাংচুর হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের পথসভা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারের সভাস্থলে সমবেত হতে থাকে। এসময় বিএনপি সমর্থকরা জিরো পয়েন্ট থেকে একটি মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মিছিলে হামলা চালায়। এরপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। হামলায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা লিটনসহ ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়।
কবিরহাট পৌর বিএনপি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু জানান, তার বাড়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিএনপি অফিস ভাংচুর করা হয়। কবিরহাট উপজেলা জাসাসের সভাপতি আবদুস সাত্তারের বাড়ীতে গিয়ে তাকে মারধর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। এছাড়া নরোত্তমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, কবিরহাট পৌর যুবদল সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন ও কবিরহাট বিএনপি প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোমিত ফয়সল গুলিবিদ্ধ হয়। অপরদিকে পথসভায় আসার পথে ভূঁইয়ারহাট, শাহজীর হাট, কাচারি হাট, কালামুন্সী, ব্যাপারী হাটে বিএনপির মিছিলে হামলা হয় বলে বিএনপি অভিযোগ করেন। এতে ১০ জন আহত হয়।
অপরদিকে কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম জানান, বিএনপির হামলায় তিনিসহ আওয়ামী লীগের ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ কবিরহাট পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা একরাম উদ্দিনকে আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ভাংচুর হচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ তার নির্ধারিত পথসভাস্থলে আসেন নি। ঘটনা জানতে কবিরহাট থানার ওসিকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।