বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনার ঈশ্বরদীতে যৌতুক না পেয়ে সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়েছেন ঘাতক স্বামী আবু রায়হান রাজেশ (৩১)। গতকাল সোমবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মাছ বিক্রেতা নূর আলীর মেয়ে। ঘাতক আবু রায়হান ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর বাঘইল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, গত রাত প্রায় ৮টার দিকে সীমাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার স্বামী আবু রায়হান। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই তার স্বামী আবু রায়হান সেখান থেকে সটকে পড়েন। তার গলার চার পাশে দাগ ছিলো। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে কাউকে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
সীমার মামাতো ভাই রনি জানান, রাত আটটায় আবু রায়হানের এক প্রতিবেশীর কাছে বোনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। তিনি একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
তার অভিযোগ, যৌতুকের জন্য সীমাকে অত্যাচার চালাতেন আবু রায়হান। বিয়ের সময় আবু রায়হান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছিলেন। তাকে পরে কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিলো। টাকার অভাবে তা দিতে পারেননি। টাকার জন্য সীমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন আবু রায়হান। আমার বোন লজ্জায় তা জানাতে চাইতো না।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে সীমার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়। তার গলার চারপাশে গোলাকার দাগ দেখা যায়। সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।